মহাসড়কে পানি জমে যাত্রীদুর্ভোগ চরমে

ঢাকার কাকরাইলে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আসাদুল ইসলাম। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটায় বাড়ি তাঁর। প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ধরে যাতায়াত করতে হয়। সোনারগাঁর মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় চরম দুর্ভোগের কারণে বিরক্ত তিনি।

গতকাল রোববার সকালে সেখানে আসাদুলের সঙ্গে কথা হয় সমকালের। তিনি বলছিলেন, মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনটিতে বড় বড় গর্ত দেখছেন বহুদিন ধরে। টানা কয়েক দিনের বর্ষণে এসব গর্তে জমে আছে পানি। যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান।

এদিন সেখানে যানবাহনগুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। কয়েক দিনের জমে থাকা পানির কারণে হেঁটে যাওয়ার অবস্থা নেই। অনেকেই সেখানে পড়ে আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই মহাসড়কের এ অংশটি বেহাল।

বাড়ি চিনিস গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া বলেন, সংস্কারের অভাবে এখানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতদিন এখানে যানবাহনগুলোতে যাত্রী ওঠানামা করা হতো। কিন্তু এখন তাও সম্ভব হচ্ছে না।

বোরাক পরিবহনের একটি বাস নিয়ে যাচ্ছিলেন চালক আলী হোসেন। তিনি বলেন, ঢাকামুখী লেনটি বেশ প্রশস্ত। কিন্তু সড়ক বিভাজক নির্মাণের কারণে আঞ্চলিক পরিবহনগুলোকে সড়কের ভাঙা অংশ দিয়ে চলাচল করতে হয়। ইদানীং যাত্রী উঠানামা করাতেও সমস্যায় পড়ছেন।

পাশেই বাড়ি পঞ্চাশোর্ধ্ব আব্দুল আজিজ মিয়ার। বাজার-সদাই করতে প্রায়ই মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় আসতে হয় তাঁকে। বাসস্ট্যান্ডের কাদাপানির কারণে কাপড়চোপড় নষ্ট হয়ে যায়। দ্রুত ওই জায়গাটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

মোগড়াপাড়া সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে রুমান আক্তার চৈতি। কাদাপানি মাড়িয়ে প্রতিদিন বাসে উঠতে হয়। সেও এ দুর্ভোগ থেকে নিস্তার চায়।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, পানি জমে থাকার কারণেই এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্রুত মহাসড়কের এ অংশের সংস্কার কাজ শুরু করবেন তারা।