সাতক্ষীরার শ্যামনগরের চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্রী মরিয়ম খাতুন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পুলিশ অভিযুক্ত সুব্রত মণ্ডলকে (২২) গ্রেপ্তারও করেছে। শনিবার ভোর রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত সুব্রত মণ্ডল শ্যামনগর উপজেলা সদরের কাঁচড়াহাটি গ্রামের পরিমল মণ্ডলের ছেলে।

রোববার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য তুলে ধরে ঘটনার বিশদ বর্ননা দেন।

পুলিশ সুপার জানান, সুব্রত মণ্ডলই কলেজছাত্রী মরিয়ম হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা। বুধবার সন্ধ্যার পর মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ শেষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মরিয়মকে হত্যা করে সে। দুই বছর ধরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি তারা শাররীক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন ধরে মরিয়ম বিয়ের করার জন্য সুব্রতকে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু সুব্রত বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এর জেরে মরিয়মকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সুব্রত।

এদিকে সরকারি মহসীন কলেজের ছাত্রী মরিয়ম খাতুনের হত্যাকারীর দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবিতে রোববার সকাল ১১টার দিকে শ্যামনগরে তার সহপাঠীসহ শিক্ষক-কর্মচারী এবং এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।

এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা সদরের বল্লভপুর গ্রামের একটি ধান ক্ষেতের পাশে খড়ের গাদার ওপর থেকে মরিয়মের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার গলায় ওড়না পেচানো ছিল এবং পাশে আরো দু’টি ওড়না পড়ে ছিল।