- সারাদেশ
- বেগমগঞ্জে শিবিরের হামলায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের আহত ৮
বেগমগঞ্জে শিবিরের হামলায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের আহত ৮

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে শিবির ক্যাডারদের হামলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় শিবিরকর্মীরা ২০-৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে।
রোববার উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন শিবিরকর্মীকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বেগমগঞ্জের আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন এলাকা জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত। শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদ ও যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল।
আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান হিরন জানান, রোববার সকাল ১১টার দিকে শিবিরের লোকজন ওই ইউনিয়নের আইয়ুবপুর গ্রামের একেজি ছায়েদুল হক আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সামনে শিক্ষার্থীদের জোর করে শিবিরের সদস্য ফরম পূরণ করাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেন। এরপর শিবিরের লোকজন চলে গেলেও দুপুর সাড়ে ১২টার সময় কৃষ্ণরামপুর গ্রামের ছেনি আলম, পিয়াস, মানিক, বাবু ও আরাফাতের নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জন শিবিরের ক্যাডার ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের সামনে আসে। এ সময় শিবিরের লোকজন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী আবদুল আউয়াল বাবুকে মারধর করে। খবর শুনে ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামান হিরন, কাজী সরফুদ্দিন বাবু, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বঙ্গ মুন্সিসহ লোকজন আবদুল আউয়াল বাবুকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন। এ সময় জামায়াত-শিবিরের লোকজন হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আটজনকে আহত করে। তখন শিবিরের লোকজন ২০-৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। তবে কারও গায়ে গুলি লাগেনি। ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডব চালিয়ে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বঙ্গ মুন্সির ডান পায়ের রগ কেটে দেয় শিবিরের লোকজন। তাকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর রাকিব নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হামলার ঘটনার খবর শুনে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে হামলাকারী অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হচ্ছে- কৃষ্ণরামপুর গ্রামের দেলোয়ার (৪০) ও নুরে আলম (২৬) এবং আমান উল্যাহপুর গ্রামের রনি (২৪)। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদ বলেন, সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা আলমগীরের ইন্ধনে তার অনুসারী শিবির ক্যাডাররা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহতদের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন