পুলিশের রুটিন কাজের বাইরে গিয়ে পিছিয়ে পড়া বেদে ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। অনুরূপভাবে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত দৌলতদিয়া যৌনপল্লির শিশুদের সমাজের মূলস্রোতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে তাদের জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষাসহ নানা বিষয়ে কাজ করা হবে। 

বুধবার দুপুরে দৌলতদিয়া যৌনপল্লির শিশুদের স্কুলব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের কোনো জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে উন্নত দেশের কাজ সম্পন্ন হবে না।

দেশের সর্ববৃহৎ দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে জন্ম নেওয়া শত শত শিশু শিক্ষাসহ সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত। সে বিবেচনায় এ সব শিশুর জীবনমান উন্নয়নে এখনই কাজ শুরু না করলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন কঠিন হবে। তিনি বলেন, এখানে জন্ম নেওয়া শিশুদের কি কোনো অপরাধ আছে? অন্য আর দশটি শিশুর মতো কেন তারা বেড়ে ওঠার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। তাই আমাদের যার যার অবস্থান থেকে তাদের জীবনমান উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।

এরপর ডিআইজি হাবিবুর রহমান যৌনপল্লির শিশুদের জন্য মুক্তি মহিলা সমিতি আয়োজিত মুসলিম চ্যারিটি (ইউকে) অ্যান্ড ডে-কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করেন। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে যৌনপল্লির শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যে মধ্যে বক্তব্য দেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, হাইওয়ে পুলিশের এসপি মোস্তাফিজুর রহমান, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফ উজ জামান, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুজ্জামান চৌধুরী, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন গেদু, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মণ্ডল, মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম, অবহেলিত মহিলা সমিতির সভাপতি ঝুমুর আক্তার, যৌনপল্লির শিশু ফারহান আহমেদ ইয়াসিন প্রমুখ।