- সারাদেশ
- বড়বিলে দিনভর কী আনন্দের 'পলোবাইচ'!
বড়বিলে দিনভর কী আনন্দের 'পলোবাইচ'!

বড়বিলে দিনভর 'পলোবাইচ' অনুষ্টিত হয়- সমকাল
নদী আছে, কিন্তু নদীপথ নেই, নেই পানিও। খাল আছে, বিল আছে, আছে জলাশয় এবং হাওরও।তবে এগুলো শুধু কাগজে-কলমে।
সুরমা নদী থেকে নৌকা নিয়ে খাজাঞ্চী, বাসিয়া কিংবা মাকুন্দা নদীপথ দিয়ে সহজেই বের হওয়া যেত। হাওর, জলাশয় ও নদীতে উৎসবের আমেজে পলো বাওয়া হতো, ধরা পড়ত বড় বড় বোয়াল ও ঘাগট মাছ। কিন্তু এখন যেন তা রূপকথার গল্প। দখল, দূষণ আর ভরাটের কারণে পলো বাওয়া তো দূরের কথা, না নদীতে নৌকা চলে, না বাজারে পাওয়া যায় দেশি মাছ। তার পরও থেমে নেই সিলেটের বিশ্বনাথবাসী। প্রাচীন সেই ঐতিহ্যকে আদিকাল থেকেই তারা লালন করে যাচ্ছেন আজও।

প্রতিবছরের মতো এবারও বুধবার হয়ে গেল উপজেলার গোয়াহরি গ্রামের বড়বিলে 'পলো বাওয়া' উৎসব। দিনভর গ্রামের ছেলেবুড়ো সবাই মেতে ছিলেন পলো দিয়ে মাছ ধরায়। সেই আদিকাল থেকেই 'বড় বিলে' বছরের পহেলা মাঘ 'পলো বাওয়া' উৎসব পালন করেন গোয়াহরি গ্রামবাসী।
যদিও পলোবাইচ; কিন্তু পলো ছাড়াও ঠেলা জাল, হাতা জাল ইত্যাদি নিয়ে মাছ ধরায় মেতেছিল গ্রামবাসী। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কাতলা, রুই, বোয়াল, শোল, গজার ও কার্ফু মাছ বেশি পাওয়ায় হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছেন তারা।
গোয়াহরি গ্রামের ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন সমকালকে বলেন, প্রায় দুইশ' বছর আগ থেকে তারা বছরের পহেলা মাঘ 'পলো বাওয়া'কে উৎসব হিসেবে পালন করছেন। তার মতে বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে তাদের বড় বিলেই কেবল আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গে পলো বাওয়া হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন