- সারাদেশ
- গাইবান্ধায় সাম্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
গাইবান্ধায় সাম্য হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

আশিকুর রহমান সাম্য
গাইবান্ধায় কিশোর আশিকুর রহমান সাম্য (১৪) হত্যা মামলার রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং আটজনের পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দীলিপ কুমার ভৌমিক এ রায় দেন।
অন্য আসামির মধ্যে একজন পৌর কাউন্সিলর ও দুই মহিলাসহ আটজনের প্রত্যেককে পাঁচ বছরের কারাদ- ও এক লাখ টাকা অর্থদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-শাহরিয়ার সরকার হৃদয়, রকিবুল হাসান সজিব ও মাহমুদুল হাসান জাকির।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মাসুদ প্রধান সুজন, আল আমিন ইসলাম, রাবেয়া বেগম, আল আমিন, শিমুল মিয়া, রুনা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম, ও জয়নাল আবেদীন।
গোবিন্দগঞ্জের নিম্ন আদালতে ৪০ দিন এবং গাইবান্ধায় ১৭ দিন শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। পরে ৬ জানুয়ারি আদালতে সর্বশেষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার নির্ধারিত তারিখে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসাজনিত কারণে শত্রুতার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হওয়ার পরদিন সকালে গোবিন্দগঞ্জ শহরের বর্ধনকুঠি বটতলা মোড় এলাকার কমিউনিটি সেন্টারের পেছনের একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সাম্যর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সেসময় পুলিশ জানায়, ঈদের আগের রাতে সুকৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সাম্যকে হত্যা করে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওইদিনই পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করে। সেসময় সাম্য গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ওই ঘটনার পর সাম্যর বাবা পৌর মেয়র আতাউর রহমান বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় ওই খুনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পৌর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিনসহ ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
রায় হওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় সাম্যের বাবা ও গোবিন্দগঞ্জের পৌর মেয়র আতাউর রহমান সরকার বলেন, তার প্রত্যাশা ছিল সন্তান হত্যার সঙ্গে জড়িত সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। কিন্তু মাত্র তিনজনের ফাঁসির আদেশ হওয়ায় তিনি এই রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচারের জন্য আপিল করবেন।
জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, এই রায় পুরোপুরি সন্তোষজনক নয়। সেজন্য উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
আসামির পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ ও মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এই রায়ে আসামিরা ন্যায়বিচার পাননি। সুতরাং তারা ন্যায়বিচারের জন্য আপিল করবেন।
মন্তব্য করুন