তাবলিগ জামায়াতের সাদ পন্থীরা দোয়া মাহফিলের জন্য মৌখিক অনুমতি নিয়ে খোজারখলা মারকাজ মসজিদে আমল শুরু করেন। এই সংবাদ জুবায়ের অনুসারীদের কানে যায়। জেলা ইজতেমা করার পায়তারার অভিযোগ এনে তারা সেটি প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। তারা সকাল থেকেই মারকাজ মসজিদের সামনে শ্লোগান দিতে থাকেন।

এসময় সাদ বিরোধীরা দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল পয়েন্টে একত্রিত হয়ে বদিকোনা থেকে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলযোগে মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকায়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

শুক্রবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে সিলেটে তাবলিগের দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

দীর্ঘ অলোচনার পর অবশেষে দুপক্ষ সমঝোতায় আসেন। ফলে সকাল থেকে যে উত্তেজনা ছিল সেটি দূর হয় জুমার নামাজের পর। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাবলিগ জামায়াতের সাদ পন্থীরা দোয়া মাহফিলের জন্য মৌখিক অনুমতি নিয়ে খোজারখলা মারকাজ মসজিদে আমল শুরু করেন। এই সংবাদ জুবায়ের অনুসারীদের কানে যায়। জেলা ইজতেমা করার পায়তারার অভিযোগ এনে তারা সেটি প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। তারা সকাল থেকেই মারকাজ মসজিদের সামনে শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় সাদ বিরোধীরা দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল পয়েন্টে একত্রিত হয়ে বদিকোনা থেকে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেলযোগে মিছিল নিয়ে বের হলে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকায়। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

সংবাদ পেয়ে যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর অবস্থানে নামে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। দক্ষিণ সুরমা এলাকার তাবলিগের মাঠের আশপাশ, চন্ডিপুলসহ নগরীর মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, ডিসি (দক্ষিণ) সুহেল রেজা, ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, কোতোয়ালী থানার ওসি সেলিম মিয়া, দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রম্নল ফজল। সংবাদ পেয়ে ছুটে যান আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ উদ্দি সিরাজসহ অনেকেই।

এ ব্যপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল বলেন, শুক্রবার সকালে খোজারখলা মারকাজে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হলে কোনো সমাধান আসেনি। পরে জুমার নামাজের পর উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় একটি সমাধানের পথ মিলেছে।

তিনি বলেন, ইজতেমা মূলত তিনদিন হয়। সাদ পন্থীরা দোয়ার জন্য মাত্র একদিনের অনুমতি নিয়েছিলো। অপরপক্ষ ইজতেমা ভেবে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানে এসেছে।

এ ব্যপারে দক্ষিণ সুরমা থানার বাসিন্দা হাজী কমরুল মিয়া সমকালকে বলেন, সকালে যে পরিস্ত্মিতি তৈরী হয়েছিল। সেটি দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। কখন কি হয় সেটি নিয়ে দিনভর উদ্বিগ্ন ছিলাম্‌। অবশেষে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় মারাত্মক সহিংসতা হাত থেকে রক্ষা পেলেন দক্ষিণ সুরমার লোকজন।