পিরোজপুরের কাউখালীতে সাকিলা আক্তার (৩৫) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সন্তান প্রসব করেছেন। বুধবার রাত ১০টার দিকে অপ্রকৃতিস্থ ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান প্রসব করেন। 

বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও খালেদা আক্তার রেখা নবজাতক ও প্রসূতি মায়ের জন্য উপহারসামগ্রী নিয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি শিশুটির নাম দেন আব্দুল্লাহ। তবে শিশুটির পিতৃ পরিচয় জানা যায়নি।

এক মাস আগে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে অসুস্থ অবস্থায় পথ থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। 

জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি মানসিক ভারসাম্যহীন অন্তঃসত্ত্বা সাকিলা কাউখালী সদরের উত্তর বাজার সেতুর কাছে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে ছিলেন। স্থানীয়রা তার অবস্থা গুরুতর দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিচয়হীন ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এক মাস ধরে ওই নারী সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এমন অবস্থায় বুধবার রাত ১০টার দিকে সাকিলার কোলজুড়ে একটি ফুটফুটে ছেলে শিশুর জন্ম হয়।

এ বিষয়ে কাউখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি তারিকুল ইসলাম পান্নু জানান, এক মাস আগে ওই নারী মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় শহরে ঘোরাফেরা করছিল। সে তার নাম সাকিলা এবং বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর এর বেশি কিছু বলতে পারছেন না। ইউএনওর উদ্যোগে অসুস্থ ওই নারী এক মাস চিকিৎসা শেষে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন। মানবিক বিষয়টি এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।

কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপের চিকিৎসক মাসুম বিল্লাহ জানান, নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সাকিলা সন্তান প্রসব করেছেন। ইউএনওর নির্দেশে আমরা তার যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদান করছি। বর্তমানে প্রসূতি মা ও নবজাতক সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।

এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও সাকিলার চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। তাই তাকে পথ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার প্রকৃত ঠিকানা অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া চলছে। কেননা, শিশুটিরও পিতৃ পরিচয় দরকার। না পাওয়া গেলে তার সুস্থতা পরবর্তী সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তা চাওয়া হবে।