- সারাদেশ
- নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রকে সহপাঠীর গুলি
নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রকে সহপাঠীর গুলি

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফয়সাল -সমকাল
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলের জের ধরে নোয়াখালী সদর উপজেলার সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে স্কুলছাত্র সাজ্জাদুর রহমান ফয়সালকে (১৮) এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়েছে। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয়েছে তার সহপাঠী তারেক আহাম্মেদকে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এওয়াজবালিয়া ইউনিয়নের দুম্বা পাটোয়ারীর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ফয়সাল ওই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য বেলাল হোসেনের ছেলে। বর্তমান ইউপি সদস্য রফিক উল্লার ছেলে এমরান হোসেন ওই গুলি চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত দু'জন ও হামলাকারী তিনজনই এওয়াজবালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। গুলির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ফয়সাল ও তারেককে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি দেখা দিলে রাতেই ফয়সালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় তার বাবা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সুধারাম মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, রফিক উল্লা ও বেলাল হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও পূর্বশত্রুতা চলছে। তারা উভয়েই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের এই বিরোধ ফয়সাল ও এমরানের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তারেক জানায়, ফয়সালের সঙ্গে এমরানের দ্বন্দ্ব চলছিল। বুধবার রাত ৯টার দিকে তারেক স্থানীয় দুম্বা পাটোয়ারী বাজারে যাওয়ার সময় এমরান ১৫-১৬ জন লোক নিয়ে তার পথরোধ করে মারধর করে। এ খবর শুনে তারেককে উদ্ধারে ফয়সাল এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে এমরান ও তার সহযোগীরা। এ সময় তারা তারেককে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে ফয়সাল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
ফয়সালের বড় ভাই দীপু বলেন, ফয়সালের পিঠে ও শরীরে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
বেলাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রফিক মেম্বার তার ছেলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার জন্য লেলিয়ে দিয়েছে।
তবে রফিক উল্লা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কে বা কারা ফয়সালকে গুলি করেছে তিনি জানেন না। এ ঘটনায় তার ছেলে এমরান জড়িত নয়।
এ ব্যাপারে সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তমাস বড়ূয়া বলেন, খবর পেয়ে বুধবার রাতে তিনি ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু কোনো অস্ত্র উদ্ধার বা কাউকে আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে রফিক উল্লা মেম্বারকে প্রধান ও তার ছেলে এমরানকে দুই নম্বর আসামি করে অজ্ঞাত পরিচয় ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন