- সারাদেশ
- রাবিতে ভাষা দিবসের ব্যানারে বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি
রাবিতে ভাষা দিবসের ব্যানারে বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কর্মসূচির ব্যানারে বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি লাগিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সংগীত বিভাগ। শুক্রবার ব্যানারটি দিয়ে কর্মসূচি পালন করা হলেও শনিবার সেটি ভাইরাল হয়। এরপর থেকে অনেকে এর সমালোচনাও করেছেন। তাদের দাবি, ভাষাশহীদদের ছবি বাদ দিয়ে শুধু বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি ব্যবহার করায় তরুণ প্রজন্মরা ভুল ইতিহাস জানবে। তবে বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যানার তৈরির সময় অনিচ্ছাকৃত ভুলে এমনটি ঘটেছে।
জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি ড. দীনবন্ধু পাল বলেন, 'বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করতে চেয়েছিলাম। তারা ব্যানার বানাতে গিয়ে ভুল করেছে। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বা ইতিহাস বিকৃতির উদ্দেশ্যে এমন হয়নি। ভুল থেকে এমনটি ঘটেছে।'
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শায়লা তাসনীম বলেন, 'আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ মার্চের জন্য একসঙ্গে ব্যানার তৈরি করতে দিয়েছিলাম। সেখানে ভাষাশহীদদের ও বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি ছিল। রাতে ব্যানার প্রিন্ট করে আনা হয়। কাদের ভুলে এমনটি হয়েছে বুঝতে পারছি না। তবে এটি খুবই দুঃখজনক। আমরা কোনো শহীদকে অসম্মানিত করতে চাইনি। সবার অবদানই আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।'
এদিকে ব্যানারের ছবিটি ভাইরাল হলে এর সমালোচনা শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র বলেন, আসলে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষাশহীদদের ছবি ব্যবহার করলে বেশি ভালো হতো। পাশাপাশি অন্য শহীদদের ছবি দেওয়া যেত। হয়ত তারা ভুল করে এমনটি করে ফেলেছেন।
নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আতাউর রহমান রাজু বলেন, ভাষাশহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ সবাই আমাদের কাছে সম্মাননীয়; কিন্তু সবাই আলাদা আলাদা প্রেক্ষাপটে ও স্বতন্ত্রভাবে সম্মাননীয়। সে ক্ষেত্রে ভাষা দিবসের ব্যানারে ভাষাশহীদদের ছবি বাদ শুধু বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি অনাকাঙ্ক্ষিত।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, 'যে দিবসের সঙ্গে যেটি যায়, সেটিই করা উচিত। বীরশ্রেষ্ঠ ও ভাষাশহীদ সবাই সম্মাননীয়। সে ক্ষেত্রে দিবসের দিকে খেয়াল রেখে ছবিগুলো সংযোজন করা দরকার। তবে ইতিহাস বিকৃত করার উদ্দেশ্যে এমন ব্যানার তৈরি করা হয়নি।'
মন্তব্য করুন