বগুড়ায় কলেজে ক্লাস চলাকালে শেণিকক্ষে ঢুকে আলমগীর কবির নামে এক শিক্ষকের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া সদরের গোদাপাড়া এলাকায় অবস্থিত জাহিদুর রহমান মহিলা কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে বগুড়া-নওগাঁ সড়কে বসে অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই কলেজের মিজানুর রহমান নামে এক শিক্ষকের নেতৃত্বে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ১০-১২টি মোটরসাইকেলযোগে ২০-২৫ জন ব্যক্তি কলেজে প্রবেশ করে। এরপর তারা দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাসে যান। সেখানে আলমগীর কবির নামে এক শিক্ষক ইংরেজি ক্লাস নিচ্ছিলেন। এ সময় ওই ব্যক্তিরা আকস্মিকভাবে শিক্ষক আলমগীর কবিরের ওপর হামলা চালিয়ে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আলমগীর কবির মেঝেতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা দ্রুত চলে যায়। পরে অন্যান্য শিক্ষকরা আলমগীর কবিরকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুর আলম জানান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মিজানুর রহমান ছুটি ছাড়াই ৪ মাস যাবত অনুপস্থিত রয়েছেন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় তার স্থলে আলমগীর কবির নামে এক ব্যাক্তিকে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে বিনা বেতনে মৌখিকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এদিকে শিক্ষক মিজানুর রহমানকে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। ওই নোটিশ পেয়ে মঙ্গলবার তিনি কলেজে এসে উচ্চবাচ্য করেন। একপর্যায়ে তিনি কলেজ থেকে বের হয়ে গিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফের দলবল নিয়ে এসে আলমগীর কবির নামে ওই শিক্ষকের ওপর হামলা করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসারত শিক্ষক আলমগীর কবির বলেন, তিনি ৪-৫ মাস ধরে ওই কলেজের অধ্যক্ষর অনুরোধে ইংরেজি ক্লাস নিতেন। মঙ্গলবার হঠাৎ করে ক্লাসে কয়েকজন ব্যক্তি এসে হামলা ও মারধর করে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে শিক্ষক মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।