টেকনাফ স্থলবন্দরে পেঁয়াজ খালাসে রের্কড

মিয়ানমার থেকে আসা কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে একদিনে ১৮’শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। যা চলতি বছরে রের্কড সৃষ্টি করেছে। এর আগে একদিনে এতো পরিমাণ পেঁয়াজ খালাস করা হয়নি।

মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ট্রলারে আসা এসব পেঁয়াজ খালাস শেষে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রওনা দিয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দর ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘একদিনে শতাধিকের বেশি পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক স্থলবন্দর থেকে বের হয়ে গেছে। এসব ট্রাকে ১৮’শ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রয়েছে। দেশের চাহিদা মেটাতে ব্যবসায়ীদের মিয়ানমার থেকে আরও বেশি পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পাশপাশি আমদানীকৃত পেঁয়াজ ট্রলার থেকে দ্রুত সময়ে খালাস ও সরবরাহের ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।’

টেকনাফ শুল্ক বিভাগ জানায়, সোমবার মিয়ানমার থেকে আসা টেকনাফ স্থলবন্দরে ১৮০০ দশমিক ৪৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। এ সব পেঁয়াজ ১১ ব্যবসায়ী আমদানি করেন। তারা হলেন, মোহাম্মদ হাসেম, যদু চন্দ্র দাস, মো. সেলিম, মো. কামরুল, মো. এহেতাশামুল হক বাহাদুর, মো. নাছির, মো. সজিব, আবদু শুক্কুর, মহেসিং, শওকত আলম, আবদু জব্বাব। এদিকে চলতি মাসে ২৬ হাজার ২১১ দশমিক ২৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয়েছি। এর আগের মাসে গত জানুয়ারিতে খালাস হয়েছে ১৫ হাজার ৭৬৫ মেট্রিক টন এবং গত বছরের ডিসেম্বরে ১৪ হাজার ৬৪৭ মেট্রিক টন, নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন, অক্টোবরে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বরে ৩ হাজান ৫৭৩ মেট্রিক টন এবং আগস্টে মাত্র ৮৪ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা।

টেকনাফ স্থল বন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন বলেন, ‘একদিনে ১৮’শ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ খালাস করা হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি বছরে রের্কড সৃষ্টি হয়েছে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি এখনও অব্যাহত রয়েছে। আগামী রমজানকে সামনে রেখে পেয়াঁজের আমদানী আরও বাড়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।’