- সারাদেশ
- ধুনটে কিশোরী ধর্ষণের বিচার না করায় ইউপি চেয়ারম্যান জেলে
ধুনটে কিশোরী ধর্ষণের বিচার না করায় ইউপি চেয়ারম্যান জেলে

চেয়ারম্যান আজাহার আলী ও ধর্ষকের বাবাকে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ- সমকাল
বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণের বিচার করতে ব্যর্থ হওয়ায় এক ইউপি চেয়ারম্যান ও ধর্ষকের বাবা জেলে গেছেন। মঙ্গলবার উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী পাইকার ও ধর্ষকের বাবা ফজলুল বারীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
জানা গেছে, গত ১৫ মে নিমগাছীর বেড়েরবাড়ী পাইকারপাড়ার এক কিশোরীকে (১৬) তার নিজ বাড়িতে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী মেহেদী হাসান (১৯)। এরপর ভয়ভীতি ও বিয়ের প্রলোভনে ওই কিশোরীকে আরও কয়েক দফা ধর্ষণ করে মেহেদী। একপর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হলে তার পরিবার নিমগাছী ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মাতবরদের কাছে বিচার দেয়। দীর্ঘ কয়েক মাসেও বিচার পায়নি ওই কিশোরীর পরিবার। এমনকি প্রভাবশালীদের ভয়-ভীতির কারণে আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেনি তারা। এ অবস্থায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের শিকার কিশোরী এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। এতে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপরও বিচার না পেয়ে নিরুপায় হয়ে গত সোমবার দুপুরে নবজাতক কন্যা সন্তানকে নিয়ে থানায় হাজির হন ওই কিশোরী ও তার মা।
মেয়েটির মা বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতবরদের কাছে বিচার চাই। তারা দীর্ঘদিনেও বিচার না করে উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। চেয়ারম্যান আজাহার আলী বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বিচার চেয়েছিল কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ধর্ষককে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই মেয়েটিকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আমার শত্রু পক্ষের ইন্ধনে আমাকে ধর্ষণ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী সোমবার রাতে নিমগাছীর ইউপি চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করার পর অভিযুক্ত দু'জনকে আটক করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন