- সারাদেশ
- উত্ত্যক্তের শিকার চাকমা তরুণীর আত্মহত্যা
উত্ত্যক্তের শিকার চাকমা তরুণীর আত্মহত্যা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় শারীরিকভাবে নির্যাতন ও উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তার নাম পিয়া চাকমা।
রোববার ভোরে বাড়ির সামনে আমগাছে ওড়না পেঁচিয়ে পিয়া গলায় ফাঁস দেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
পিয়া চাকমা দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তিনি উপজেলার খামারপাড়া গ্রামের জীবিকা চাকমার মেয়ে।
এ ঘটনায় অনিল চাকমা, সুমন্ত চাকমা ও জয়েশ চাকমা নামে একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পিয়া চাকমার সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার দুপুরে অটোরিকশা করে বাড়ি ফিরছিলেন পিয়া। এ সময় থানা বাজারসংলগ্ন মাইনি সেতুর পূর্বপাড়ে অবস্থানরত অনিল চাকমা, সুমন্ত চাকমা ও জয়েশ চাকমা জোর করে পিয়াকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। অনিল চাকমা তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় অনিল তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করা হয়। রোববার সকালে তারা তিনজন কলেজে আসার পর অন্য শিক্ষার্থীরা তাদের গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
পিয়ার বড় ভাই কল্যাণ চাকমা বলেন, কলেজ থেকে ফেরার পথে তার সঙ্গে কে কী করেছে সে বিষয়ে বাড়ির কাউকেই কিছু জানায়নি পিয়া। আত্মহত্যার আগ পর্যন্ত স্বাভাবিক আচরণ করেছে। ভোরে ঘরের দরজা খোলা দেখে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে গিয়ে বাড়ির পাশের আমগাছে তার ঝুলন্ত লাশ পায়।
দীঘিনালা সরকারি ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ তরুণ কান্তি চাকমা বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানতাম না। রোববার সকালে কলেজ চত্ত্বরে অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে অন্য শিক্ষার্থীরা মারধরের ঘটনার পর বিস্তারিত জেনেছি।
দীঘিনালা থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন