- সারাদেশ
- কয়রায় সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
কয়রায় সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

হাদীউজ্জামান রাসেল
খুলনার কয়রা উপজেলায় গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাদীউজ্জামান রাসেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রোববার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান বলে তার পরিবারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত রাসেল কয়রা উপজেলার বাগালি ইউনিয়নের বায়লারহানিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার সানার ছেলে।
উপজেলার বাগালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার পাড় জানান, বিলের পানি সরবরাহের জন্য ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া-বায়লাহানিয়া সড়কে একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলছিল। কাজটি তত্বাবধায়নের দায়িত্বে ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা রাসেল। কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে গ্রামবাসী কাজটি বন্ধ করে দিলে রোববার রাসেল সাইটে গিয়ে গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা করেই কাজ শুরুর উদ্যোগ নেন। এ গ্রামবাসী বাধা দিলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তুহিন নামে একজনকে মারধর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধভাবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সংঘর্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা রাজুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রাসেলসহ কয়েকজন আহত হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া পথে রাসেলের মৃত্যু হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করেনি জানিয়ে ওসি বলেন, সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তুহিন ও মিলন নামে দুইজনকে আটক করে।
এদিকে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল আলম টিংকু অভিযোগ করেছেন, প্রতিপক্ষের লোকেরা পরিকল্পিতভাবে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন