‘নিজেই আমার স্ত্রী রত্নাকে পেট্রলে পুড়িয়ে হত্যা করেছি’- সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মোবারকপুরের হাসিবুর রহমান সবুজ এই বলে তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার রত্নাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান। 

সোমবার সকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

পুলিশ সুপার বলেন, সাতক্ষীরার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলামের আদালতে স্ত্রী রত্নাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন হাসিবুর। গ্রেপ্তারের পর তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ সুপার আরো জানান, ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে আগুন দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার জন্য সবুজ তিন লিটার পেট্রল কিনে পাইপের মাধ্যমে শোয়ার ঘরে ছিটিয়ে দেন। পরে তিনি গ্যাস লাইটার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে রত্না পুড়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ৪ মার্চ মারা যান।

ফারহানা আক্তার রত্না

হত্যার কারণ সম্পর্কে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাবেক স্বামী মিজানুর রহমানের সঙ্গে রত্নার ৩/৪টি মামলা রয়েছে। সম্পর্কে থাকাবস্থায় মিজানুর রত্নার মাধ্যমে শ্বশুরের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে তা আর শোধ করেননি। এ নিয়ে বিরোধ চরমে উঠলে ২০১৯ সালে রত্না খুলনার ডুমুরিয়ার মিজানুরের ঘর ছেড়ে কুষ্টিয়ার হাসিবুর রহমান সবুজকে বিয়ে করেন। পরে তালার মোবারকপুরে বাবু সাধুর বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন তারা। রত্না এরপর থেকে সবুজকে ব্যবহার করে সাবেক স্বামীর ওপর প্রতিশোধ নিতে চান। অপরদিকে সবুজের ধারণা, রত্না সাবেক স্বামী মিজানুরের সঙ্গে এখনও মেলামেশা করেন। এসব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহ ও মতবিরোধ বাড়তে থাকে। তার জের ধরেই সবুজ পেট্রল দিয়ে স্ত্রী রত্নাকে হত্যা করেন। 

পুলিশ সুপার বলেন, সবুজ ১৬১ ধারা ও পরে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, তার ধারণা ছিল পেট্রলের আগুনে পুড়ে মারা গেলে সবাই ভাববে রত্না আত্মহত্যা করেছেন।