কারাগার থেকে পঞ্চাশজন কয়েদি নিয়ে আদালতের হাজতখানার সামনে আসে একটি প্রিজনভ্যান। ভ্যান থেকে অন্যসব কয়েদির সঙ্গে অস্ত্র মামলার আসামি শাহীন আলম সবুজকেও নামানো হয়। আসামিদের নামানোর সময় ভিড়ের মধ্যে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাতকড়া খুলে সবুজ পালিয়ে যায়।

সোমবার গাজীপুর মহানগর আদালতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে।

জানা যায়, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ বন্দি ছিল অস্ত্র মামলার আসামি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার টেকিপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে সবুজ। হাজিরা দেওয়ার জন্য কারাগার থেকে ২৩ এবং গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে ২৭ জনসহ মোট ৫০ জন আসামিকে একটি প্রিজনভ্যানে করে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ভ্যান থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় সবাইকে নামিয়ে হাজতে নেওয়ার সময় ভিড়ের মধ্যে কৌশলে আসামি সবুজ হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায় বলে জানান মহানগর আদালতের পরিদর্শক মো. আতিকুর রহমান। এ ঘটনায় সদর থানায় আসামি পলায়নের একটি মামলা করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া সবুজের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে অস্ত্র আইনে জয়দেবপুর থানায় মামলা হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এর জেলার বাহারুল ইসলাম বলেন, জেলা কারাগার থেকে গত বছরের ২২ অক্টোবর সবুজকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। মহানগর পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন জানান, আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তদন্ত করার জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (প্রসিকিউশন) আহসান হাবীবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাত কর্মদিবসে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (প্রসিকিউশন) আহসান হাবীব বলেন, দায়িত্বশীল কার গাফিলতির কারণে আসামি পালিয়ে গেছে সেটা অনুসন্ধান করে বের করা হবে।