চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা এক কলেজছাত্রের মাথার চুল কাটার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে সীতাকুণ্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হকের বিরুদ্ধে।

ওই নির্দেশ পেয়ে এক ব্যক্তি চুল কাটা শুরু করেন। এরকম একটি ছবি তুলে স্বনির্ভর গুলিয়াখালীর গর্ব নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে পোষ্ট দেন শাহজাহান সালেহ নামে এক ব্যক্তি। এতে শুরু হয়েছে ফেসবুকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে ম্যাজিষ্ট্রেট দাবি করেছেন, স্থানীয়রা ওই যুবকের মাথার চুল কেটেছে।

জানাগেছে, মঙ্গলবার বিকেলে সীতাকুণ্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ মাহবুবুল হক গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে অভিযান চালান। এসময় তিনি সাতটি তাবু জব্দ করেন। এক পর্যায়ে এক কলেজছাত্রের চুল কাটার নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

ঘটনার ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া শাহজাহান সালেহ লিখেছেন, 'সাধু সাবধান! গুলিয়াখালী সী বিচে ম্যাজিস্ট্রেটের অতর্কিত হানা। নিচের ছবিতে আপনার দেখছেন, একটা কলেজ পড়ুয়া ছেলের মাথার চুল কেটে দেওয়া হচ্ছে।........'

এ ঘটনাকে অনেকে সমর্থন করলেও বিরোধীতা করেছেন সদরুল চৌধুরীসহ কয়েকজন। সদরুল চৌধুরী প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ' চুলকাটা কোনভাবে আইনসিদ্ধ বা গ্রহণযোগ্য নয়। এটা অবশ্যই ক্ষমতার অপব্যবহার।..... ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।'

জানতে চাইলে চুল কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক। তিনি বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল গুলিয়াখালী সৈকতে তাবু টাঙিয়ে রাতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। সে অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে সাতটি তাবু জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, সেখানে একটি ছেলে উল্টোপাল্টা আচরণ করেছিল। স্থানীয় কেউ তার চুল ছোট করে দিয়েছে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোন ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে এক রকম হওয়া কথা না। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।