
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু (১৯) হত্যার চার বছর পূর্ণ হলো আজ। চার বছর ধরে তদন্ত চলছে। আর কত সময় লাগবে তদন্তে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সংশ্নিষ্টরা। তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, ডিএনএ মেলানো (ম্যাচিং) চলছে। মিলে গেলেই একটা ফলাফল আসবে তদন্তে। তাই তদন্ত থমকে আছে সেখানেই।
সিআইডি কুমিল্লার তদন্ত কর্মকর্তা বিশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহমেদ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমকালকে জানান, ডিএনএ প্রোফাইলিং ম্যাচিং প্রতিবেদন এখনও সম্পন্ন হয়নি। তনুর শরীরে থাকা জামাকাপড়, আলামত থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএর সঙ্গে সন্দেহ তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ডিএনএ প্রোফাইল মেলানোর (ম্যাচিং) কাজ চলছে। সিআইডি ঢাকার ল্যাবে তা করা হচ্ছে। তিনি জানান, এর জন্য বিদেশের দ্বারস্থও হতে হয়। এতে সময় ব্যয় হয়। দেশের বাইরে থেকে ফল পেতে সময় লাগে। তার মতে তদন্ত থেমে নেই। তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, দুই বছর ধরে সিআইডি আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছে না। তাই মামলার তদন্ত অগ্রগতি সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। তনুর মা জানান, তিনি বিচারের আশায় বসে আছেন। তনুর বাবা ও তিনি খুব অসুস্থ। মৃত্যুর আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারবেন কিনা তাও জানেন না। তিনি বলেন, বিচার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলে মেয়ে হত্যার বিচার চাওয়ার সুযোগ পেতাম।
খুনের সঙ্গে জড়িতরা একাধিক- এমন কথা শুরু থেকেই বলে আসছে সিআইডি। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এমন কথার ইঙ্গিতও মিলেছে সিআইডির বক্তব্যে। তবে কেন খুন করতে হলো, খুনের উদ্দেশ্য, কারণ, ধর্ষকরাই কি খুনি না অন্য কেউ, কখন খুন করা হয়েছে তা 'তদন্তে স্বার্থের' বেড়াজালেই রয়ে গেছে। তবে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে কোনো প্রকার 'চাপ' বা বাধা নেই বলে দাবি করেছেন। স্বাধীনভাবে তারা তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন এমন দাবি করেন।
তনু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের নাট্যকর্মী ছিলেন। গেল বছরও থিয়েটারের বন্ধুরা মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার আয়োজন করেন। এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে কোনো কর্মসূচি নেননি থিয়েটার কর্মীরা। ইতোমধ্যে কলেজ বন্ধ রয়েছে সরকারি নির্দেশে। গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার মুখপাত্র খায়রুল আনাম রায়হান জানান, গেল বছরও আমরা বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছি।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হন তনু। পরে তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজির পর রাত ১০টার দিকে বাসার অদূরে একটি ঝোপে তনুর লাশ পান। পরদিন তার বাবা সেনানিবাস বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর ওই বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্ত পায় সিআইডি।
সিআইডি কুমিল্লার তদন্ত কর্মকর্তা বিশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জালাল উদ্দিন আহমেদ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সমকালকে জানান, ডিএনএ প্রোফাইলিং ম্যাচিং প্রতিবেদন এখনও সম্পন্ন হয়নি। তনুর শরীরে থাকা জামাকাপড়, আলামত থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএর সঙ্গে সন্দেহ তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ডিএনএ প্রোফাইল মেলানোর (ম্যাচিং) কাজ চলছে। সিআইডি ঢাকার ল্যাবে তা করা হচ্ছে। তিনি জানান, এর জন্য বিদেশের দ্বারস্থও হতে হয়। এতে সময় ব্যয় হয়। দেশের বাইরে থেকে ফল পেতে সময় লাগে। তার মতে তদন্ত থেমে নেই। তনুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, দুই বছর ধরে সিআইডি আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছে না। তাই মামলার তদন্ত অগ্রগতি সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। তনুর মা জানান, তিনি বিচারের আশায় বসে আছেন। তনুর বাবা ও তিনি খুব অসুস্থ। মৃত্যুর আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারবেন কিনা তাও জানেন না। তিনি বলেন, বিচার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলে মেয়ে হত্যার বিচার চাওয়ার সুযোগ পেতাম।
খুনের সঙ্গে জড়িতরা একাধিক- এমন কথা শুরু থেকেই বলে আসছে সিআইডি। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এমন কথার ইঙ্গিতও মিলেছে সিআইডির বক্তব্যে। তবে কেন খুন করতে হলো, খুনের উদ্দেশ্য, কারণ, ধর্ষকরাই কি খুনি না অন্য কেউ, কখন খুন করা হয়েছে তা 'তদন্তে স্বার্থের' বেড়াজালেই রয়ে গেছে। তবে সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে কোনো প্রকার 'চাপ' বা বাধা নেই বলে দাবি করেছেন। স্বাধীনভাবে তারা তদন্ত অব্যাহত রেখেছেন এমন দাবি করেন।
তনু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের নাট্যকর্মী ছিলেন। গেল বছরও থিয়েটারের বন্ধুরা মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার আয়োজন করেন। এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে কোনো কর্মসূচি নেননি থিয়েটার কর্মীরা। ইতোমধ্যে কলেজ বন্ধ রয়েছে সরকারি নির্দেশে। গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লার মুখপাত্র খায়রুল আনাম রায়হান জানান, গেল বছরও আমরা বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছি।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হন তনু। পরে তার স্বজনরা খোঁজাখুঁজির পর রাত ১০টার দিকে বাসার অদূরে একটি ঝোপে তনুর লাশ পান। পরদিন তার বাবা সেনানিবাস বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর ওই বছরের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্ত পায় সিআইডি।
মন্তব্য করুন