জনসমাগমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে সবচেয়ে বেশি। বিষয়টি বেশ কয়েকবার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়। এ বিষয়ে প্রার্থীসহ সবাইকে সচেতন করতে লিফলেটও বিতরণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এক কক্ষে অনেককে পাশাপাশি বসিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। পাশাপাশি আতঙ্কে রয়েছেন প্রশিক্ষণার্থীরা।

শুক্রবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন।

প্রথম দিনে সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভোটগ্রহণকারী সব কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ কার্যক্রম তিন ধাপে ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে। দু'দিন করে প্রশিক্ষণের প্রতি ধাপে সাড়ে পাঁচ হাজার করে কর্মকর্তা অংশ নেবেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে এক প্রশিক্ষণার্থী বলেন,' অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। অংশ না নিলে আছে শোকজের ভয়। অথচ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন সংস্থা জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে। এমতাবস্থায় ঘর থেকেও বের হতে সাহস পাচ্ছি না।'

তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান দাবি করেছেন, সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।