রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম তুইছুই মৌজার অরুনপাড়ায় হামে আক্রান্ত হয়ে গত ২২ দিনে পাঁচ শিশুর মৃতু্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে আরও ৯৬ জন। রাঙামাটি সিভিল সার্জন শিশুমৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আক্রান্ত এলাকায় চিকিৎসক দল কাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। 

স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, হামে ছয় শিশুর মৃত্যু এবং বয়স্কসহ ১০৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

জানা গেছে, সাজেক ইউনিয়নের তুইছুই মৌজার অরুনপাড়ায় গত ২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি হামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৫, ১৬ ও ১৭ মার্চ আরও তিন শিশুর মৃত্যু হয়। মৃত শিশুরা হলো সাগরিকা ত্রিপুরা (১১), বিজন ত্রিপুরা (২), কহেন ত্রিপুরা (৪), কলোই ত্রিপুরা (২) ও রেজিনা ত্রিপুরা (৮)। অরুনপাড়াসহ কমলাপুর ও লংথিয়ান পাড়ায় এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৯৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বয়স্ক লোকজনও রয়েছেন।

সাজেক ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শিয়ালদাহ এলাকার ইউপি সদস্য জুপ্পুইথাংক ত্রিপুরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এতে এসব শিশুর মৃত্যু হয়।

সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা নয়ন জানান, দূর্গম অঞ্চল হওয়ায় আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপ ও বিজিবির দুটি মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছে। সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আক্রান্তদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু বলেন, শিশুমৃত্যুর বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঘটনাস্থলে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইফতেখার আহম্মেদ বলেন, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেপ থেকে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। তারা আক্রান্ত লোকজনকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।

রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মেডিকেল টিম আক্রান্ত স্থানে গিয়ে কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।