চাঁপাইনাবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ভারত সীমান্তের শূন্য রেখায় এবার গাঁজা চাষ করা হচ্ছে। প্রায় তিন বছর আগে এ জায়গায় চাষ করা হতো পপি।তবে গণম্যামে এ সংক্রান্ত্র সংবাদ প্রকাশের পর সেগুলো ধ্বংসের পর এবার প্রায় ৫ বিঘা এলাকাজুড়ে চাষ করা হচ্ছে গাঁজা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক এটিকে গাঁজার গাছ বললেও বিজিবি বলছে এটি ভাঙ্গ এর গাছ। তবে গাঁজা বা ভাঙ্গ যেটাই হোক এগুলো এদেশে চাষ নিষিদ্ধ। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ভারত সোনামসজিদ সীমান্তের ১৮৫ নং আর্ন্তজাতিক মেইন পিলারের ৯ ও ১০ সাব পিলারের মধ্যে শূন্য রেখায় একটি জমিতে এসব গাঁজার চাষ করা হয়েছে। আম বাগানের মধ্যে বিভিন্ন বনফুলের আড়ালে এসব গাছ রোপণ করা হয়েছে। গাঁজার গাছগুলো এখনও ছোট আকার আছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানায়, গত কয়েক বছর ধরেই এখানে গাঁজার চাষ করা হচ্ছে। এসব গাছ বড় হয় অনেক। সময় হলে এগুলো বস্তায় ভরে নিয়ে চলে যায় মালিকরা। অনক সময় ক্ষেত থেকেই বাংলাদেশি মাদক চোরাকারবারীদের কাছে বিক্রি করে দেয় ভারতীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, শূন্য রেখায় এটি চাষ হওয়ায় বাংলাদেশি নেশাগ্রস্তরা অনায়াসে এখান থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে নেশা করতে পারেন।

এ বিষয়ে সোনামসজিদ বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার ইসমাইল হোসেনকে জানানো হলে তিনি সেখানে বিজিবির একটি প্রতিনিধি দল পাঠান। তারা এসে এগুলো দেখে ভাঙ্গের গাছ বলে চলে যান।

বিষয়টি নিয়ে চাঁপাইনাবাগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শনক রায়হান খান বলেন, এগুলো গাঁজার গাছ। এগুলো এখনও ছোট আছে। তাই এটি দেখে ভালভাবে বোঝা যাচ্ছে না। তবে বড় হলে এগুলোর গন্ধ বাড়বে। তখন এটি গাঁজা গাছ বলে মানুষ বুঝতে পারবে।

গাঁজার সঙ্গে ভাঙ্গ’র পার্থক্য আছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ দু’টোই গাঁজার জাত। ভাঙ্গ খেলেও নেশা হয়। পাশাপাশি মাথা ঘুরে। আর বমি হয়।

তিনি বলেন, এগুলো যেহেতু ভারতের মাটিতে তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু করার নেই। অবশ্য তিনি এগুলোর ছবি ও ভিডিও মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় বিএসএফ-এর কাছে পাঠানেরা ব্যবস্থা করবেন এবং সীমান্তে এর চাষ বন্ধের উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।