- সারাদেশ
- বাবুগঞ্জে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ
বাবুগঞ্জে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ

শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ- সমকাল
বাবুগঞ্জ উপজেলায় সাবেক মন্ত্রী, বর্তমান এমপি, শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাসহ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ধনকুবের ও টাকার কুমির হিসেবে পরিচিত অর্ধশতাধিক ভিআইপি নামীয় বাসিন্দা থাকলেও করোনাভাইরাসের মহামারীতে তারা লাপাত্তা। সমাজ সেবক দাবি করা এসব কথিত ভিআইপিদের চলতি দুর্যোগে এখন পর্যন্ত কোনো তৎপরতা নেই। এমনকি লকডাউনের গত ৮ দিন অতিবাহিত হলেও তাদের কাউকেই কোনো ত্রাণ বা খাদ্য সহায়তা নিয়ে দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।
পক্ষান্তরে কর্মহীন হয়ে পড়া উপজেলার দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষ। বড় কোনো আর্থিক সঙ্গতি না থাকলেও নিজেদের সীমিত সাধ্য দিয়েই সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
গত দুদিন রহমতপুর ইউনিয়নের দরিদ্র শ্রমজীবী ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলুসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির উপজেলা সম্পাদক শাহিন হোসেন এবং খানপুরাস্থ হাওলাদার বাড়ির বাসিন্দা ঠিকাদার শফিউল করিম টিপু। বাবুগঞ্জ দর্পণ পত্রিকার স্বেচ্ছাসেবক সাংবাদিকদের সহায়তায় এসব ত্রাণসামগ্রী মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন তারা। এদিকে বাবুগঞ্জের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের দক্ষিণ ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজধানীর মিরপুর এলাকার ফিজিও থেরাপিস্ট জহিরুল ইসলাম সুমনের উদ্যোগে ২ শতাধিক ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। চাল, ডাল, আলু, সাবান ও মাস্ক সম্বলিত এসব ত্রাণসামগ্রীর প্যাকেট তৈরি ও বিতরণে তাকে অর্থ এবং শ্রম দিয়ে সহায়তা করেন ঢাকাস্থ তার কয়েকজন বন্ধু।
এছাড়াও বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আজিজুল ইসলাম বাবুলের উদ্যোগে ভূতেরদিয়া এলাকার শতাধিক দরিদ্র কর্মহীন মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করা হয়। এ কাজে তাকে সার্বিক সহায়তা করেন তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও রাশিয়া ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন। ব্যক্তিগত অর্থায়নে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে ছাত্রলীগ, স্থানীয় যুবসমাজ ও স্বেচ্ছাসেবী অনেক সাধারণ মানুষ।
নিজেদের সাধ্যমতো ব্যক্তিগতভাবে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী ইমদাদুল হক দুলাল এবং তার উপজেলা পরিষদের দুই ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ আজাদ ও ফারজানা বিনতে ওহাব। তারা সরকারি ত্রাণসামগ্রী ছাড়াও নিজেদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের হাতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন