ঢাকা থেকে যশোরে যাওয়ার পথে ভুল ট্রেনে চেপে আদমদীঘির সান্তাহার স্টেশনে আটকে পড়ে পৌরসভার মেয়রের হেফাজতে থাকা ৭০ বছর বয়সী ফাতেমা বেওয়াকে অবশেষে ১০ দিন পর স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

শুক্রবার দুপুরে আদমদীঘির সান্তাহার পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু তার দপ্তরে ফাতেমা বেওয়াকে তার ছেলে খলিলুর রহমান ও ভাতিজা কিবরিয়ার কাছে হস্তান্তর করেন। 

এ সময় যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা, সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিছুর রহমান, সান্তাহার পৌর প্যানেল মেয়র মজিবর রহমানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

যশোর সদরের শংকরপুর গোলপাড়া মসজিদের পেছনের বাড়ির শেখ খলিল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেওয়া গত ২৫ মার্চ ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে এসে যশোরের ট্রেনে না উঠে ভুলক্রমে উত্তরাঞ্চলের সৈয়দপুরগামী ট্রেনে সান্তাহার জংশন স্টেশনে এসে নামেন। পরদিন ২৬ মার্চ করোনাভাইরাসের কারণে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। 

এতে ফাতেমা বেওয়া সান্তাহার স্টেশনে আটকে পড়েন। সাত দিন পর সান্তাহার পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু সান্তাহার রেলওয়ে টিকিট কাউন্টারের পাশে বৃদ্ধা ফাতেমাকে কান্নাকাটি করতে দেখে তাকে উদ্ধার করে পৌরসভার হেফাজতে রাখেন।

ঘটনাটি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর ফাতেমার ছেলে দেলোয়ার হোসেন জানতে পেরে যশোহর জেলা প্রশাসক ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের যথাযথ প্রমাণসহ শুক্রবার দুপুরে সান্তাহার পৌর মেয়রের কাছে পৌঁছে মা ফাতেমাকে নিয়ে যান।