পোশাক কারখানা শ্রমিক স্বামীহারা কুলসুম আক্তার ৯ বছরের একমাত্র ছেলে সাফিনকে নিয়ে শেরপুর থেকে পায়ে হেঁটে গাজীপুরের মাওনার ভাড়া বাসায় এসেছেন। রোববার কারখানা খুলবে এবং গেলো মাসের বেতন পাবেন এই আশায় দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে ১২ ঘণ্টায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর মাওনার বাসায় পৌঁছেন। টানা হাঁটা নয়, মাঝে মধ্যে ছোটখাটো যানবাহনেও চড়েছেন। পরিবর্তন করেছেন ১১ টা গাড়ি। হেঁটেছেন ৩০ কিলোমিটারেরও বেশি সময়।

শুধু কুলসুমই নন, তার মতো অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে পায়ে হেঁটে, কেউ কেউ আবার পিকআপ ও ট্রাকে চড়ে ছুটেছেন ঢাকা ও গাজীপুরের দিকে।

শুক্রবাবার রাজধানীমুখী মানুষের ভিড় ছিল এ মহাসড়কে।

রাহাত মন্ডল নামে এক শ্রমিক জানান, তিনি এসেছেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে। গাড়ি নেই, তাই পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন ঢাকা। কারণ বন্ধের দিন
কারখানা থেকে বলে দেওয়া হয়েছে রোববার কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে। কিছু দূর হেঁটে ও কিছু দূর রিকশায় চড়ে গাজীপুর পর্যন্ত এসেছেন তিনি। একই রকম অবস্থা অন্য শ্রমিকদেরও। করোনা ভাইরাসের ভয়কে সঙ্গী করেই তারা আবার ফিরে যাচ্ছেন কর্মস্থলে।

সচেতন মহল বলছে, শ্রমজীবী এই মানুষগুলো বাড়ি ছেড়ে ঢাকা কিংবা গাজীপুর আসায় নিরাপত্তা ঝুঁকিটা আরো বেড়ে গেলো। কষ্ট করে যেহেতু গ্রামে চলেই গিয়েছিলেন, সেখানে থাকাটাই ভালো ছিল।

শ্রৗপুর থানার ওসি মো. লিয়াকত আলী জানান, শুক্রবার ভোর থেকেই শ্রমজীবী মানুষের ঢল নামে মহাসড়কে। সন্ধ্যার পরও বিপুল সংখ্যক মানুষ হেঁটে ও পিকআপে চড়ে ঢাকার দিকে যাত্রা করতে দেখা যায়।