- সারাদেশ
- করোনা: ডিম, পোল্ট্রি ও দুধ নিয়ে বিপাকে খামারিরা
করোনা: ডিম, পোল্ট্রি ও দুধ নিয়ে বিপাকে খামারিরা

ফাইল ছবি
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় করোনাভাইরাসের আতংঙ্কে পোল্ট্রি ও দুগ্ধ খামারিরা পরেছে চরম বিপাকে। ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও দুধের দাম কম হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন তারা। অন্যদিকে পশুর খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারিরা। উদ্ভূত পরিস্থিতি সরকারি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সাটুরিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলায় ১৩৫টি খামার রয়েছে। এদের মধ্যে লেয়ার পোল্টি ৩৫টি, ব্রয়লার পোল্ট্রি ১০০টি ও দুগ্ধ খামার রয়েছে ৮৫টি। দুগ্ধ খামার থেকে প্রতিদিন দুধ উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার লিটার। এছাড়া ৩৫টি লেয়ার পোল্ট্রি থেকে প্রায় দেড় লাখ ডিম উৎপাদন হচ্ছে। আর ব্রয়লার পোল্ট্রি থেকে মাংস উৎপাদন হচ্ছে ৪৮ মেট্রিক টন।
সাটুরিয়ার বেশির ভাগ দুধ চলে যেত ঢাকায় বিভিন্ন কারখানায়। এখন গাড়ি চলাচল না করায় এসব দুধ হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে। দুধের উৎপাদনের তুলনায় ক্রেতা কম হওয়ায় বাজারে কম দামে দুধ বিক্রি হচ্ছে। পোল্ট্রির মাংস পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকায়।
দুগ্ধ খামারি আবু তাহের জানান, গরুর খাদ্যর দাম বেশি ও দুধের দাম কম হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা।
ভাসীয়ালি কৃষ্টপুরের ব্রয়লার পোল্টি খামারি লিটন মিয়া জানান ও লালচাঁন জানান, তাদের খামারে প্রায় ৮ হাজার ব্রয়লার মুরগি রয়েছে। প্রতিদিনই মুরগিগুলো ডিম দেয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ডিমের দাম প্রতি পিসে ৩ থেকে ৪ টাকা কমে গেছে। বর্তমানে ১টি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪ টাকায়। এ ছাড়া মুরগির খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন এই খামারিরা।
সাটুরিয়ার পোল্ট্রি ও দুগ্ধ খামারিরা জানান, সরকারি প্রণোদনা না পেলে পথে বসতে হবে তাদের।
সাটুরিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. সেলিম জাহান জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ডিম, দুধ ও ব্রয়লার পোল্ট্রি খামারিরা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। এ সময় ডেইরি ও পোল্ট্রি খামারিদের আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা না করা হলে চরম বিপাকে পড়বে খামারিরা।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মনির হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝেও আমরা খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি। ফোনে খামারিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিন অফিসের লোকজনের সঙ্গে খামারিরা যোগাযোগ করছে। তবে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব বেশিদিন হলে খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মন্তব্য করুন