- সারাদেশ
- শূন্যরেখায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে কে এই নারী
শূন্যরেখায় ধুঁকে ধুঁকে মরছে কে এই নারী

চার দিন ধরে ফেনী নদীর বালুচরে পড়ে আছেন তিনি -সমকাল
খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্তের শূন্যরেখায় খোলা আকাশের নিচে 'খুবই অমানবিকভাবে' দিন কাটছে ভারত থেকে পুশইন করা মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীর। চার দিন ধরে ফেনী নদীর বালুচরে রোদ-বৃষ্টিতে কখনও বসে, কখনও শুয়ে, আবার কখনও হামাগুড়ি দিচ্ছেন এই নারী। দু'দেশের সীমান্ত বাহিনীর অস্ত্রের মুখে কোনো দেশেই তিনি ঢুকতে পারছেন না।
৩ এপ্রিল ভারতে ফেরত পাঠাতে দু'দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, বিএসএফ সুযোগ বুঝে এসব ভারসাম্যহীনকে ফেনী নদীর জিরো পয়েন্টে ঠেলে দেয় যাতে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে পারে।
ওই নারী বারবার ভারতের দিকে যেতে চাইলেও বিএসএফ ও স্থানীয় লোকজন তাকে বাধা দিচ্ছে। এদিকে বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সীমান্তের লোকজনের মধ্যে দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। এই আতঙ্কের মাঝেও মানবিক বিবেচনায় তাকে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে বাংলাদেশের অনেকেই।
গত ২ এপ্রিল দুপুর ওই নারী নদী পার হয়ে বাংলাদেশে আসতে চাইলে বিজিবি বাধা দেয়। পরদিন সকাল ১০টায় আনন্দপাড়া আবাসিক এলাকার নোম্যান্স ল্যান্ডে দু'দেশের সীমান্ত বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় মহামুনি সংলগ্ন বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১-এর নোম্যান্স ল্যান্ডে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়।
রামগড় ৪৩ বিজিবির জোন কমান্ডার লে. কর্নেল তারিকুল হাকিম জানান, ২ এপ্রিল সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর নোম্যান্স ল্যান্ডে ওই নারীকে দেখা যায়। ওই নারী যখন বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকতে চায়, তখন বিজিবি সদস্যরা তাকে বাধা দেয়। অন্যদিকে, বিএসএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ওই নারী বাংলাদেশি। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো জায়গা থেকে এখনও পর্যন্ত কেউ তাকে দাবি করেনি। স্থানীয়রা ওই নারীকে তার প্রকৃত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে প্রশাসন ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সহায়তা কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন