করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লক্ষ্মীপুরে মানুষজনকে ঘরে রাখতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসনসহ সেনাবাহিনী। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে লোকজনকে ঘরে ঢুকিয়ে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের কড়া প্রহরার কারণে মানুষজন ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না। 

তবে অনেক গ্রামগুলোতে লোকজনকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খোশগল্প ও আড্ডা দিতে দেখা গেছে। প্রশাসনের গাড়ি আসতে দেখলেই তারা সরে যাচ্ছে। গাড়ি চলে যাওয়ার পর আবারও তারা রাস্তায় আড্ডা দিতে জড়ো হচ্ছে। বাইরে অযথা ঘোরাঘুরি করায় মঙ্গলবার সকালে একজনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকেই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং করে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় কুমিল্লা ৩৩ পদাতিক ডিভিশন আর্টিলারি ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সামছুল আরেফিন জনসাধারণকে ঘর থেকে বের না হয়ে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে, পরিবারকে এবং সমাজ তথা দেশকে সুরক্ষিত রাখার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক, সাবান ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেন। 

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সামছুল আরেফিন মসজিদের ইমাম, বাজারের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্তরের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, লে. কর্নেল জিয়াউর রহমান, পুলিশ সুপার ড. এসএম কামরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গফ্ফার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহিদুল ইসলাম। 

একই সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কোয়ারেন্টাইন ভাঙার অপরাধে যাত্রীবাহী কয়েকটি প্রাইভেটকার এবং মোটরসাইকেল আরোহীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। 

এর আগের দিন রোববার রাতে জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বনি আমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন, মুকবুল হোসেনসহ কর্মকর্তারা পৌরসভার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেদে পরিবার, রিকশা ও ভ্যানচালক এবং পরিবহন শ্রমিকদের ২০০ পরিবারের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন।  এর মধ্যে রয়েছে- ১০ কেজি চাল , দুই কেজি আলু, এক কেজি মসুর ডাল, আড়াইশ গ্রাম সরিষা তেল এবং একটি করে সাবান।