ইন্দুরকানী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে সেবা কার্যক্রম। এ অবস্থায় হাসপাতালের নাইট গার্ড ওই চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে সেলাই, ব্যান্ডেজ করছেন। ফলে বেশিরভাগ সময়ই রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বরত চিকিৎসককে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীরা গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে ভিড় করছেন। ফলে সেবা বঞ্চিত হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষ।

বর্তমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বর হলেই মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করছে। তাই অনেকেই সরকারি কমপ্লেক্সে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে চিকিৎসকের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিচ্ছেন। অনেককে সেবা না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে। এরমধ্যে এখানে নেই পর্যাপ্ত ঔষধ সরবরাহ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সের রোগী ডাক্তার দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছেন। করোনাভাইরাসে সংক্রামণের ভয়ে সাধারণ সর্দি-কাশি নিয়েই হাসপাতালে ভিড় করেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত চিকিৎসক না থাকায় নাইটগার্ড আল আমিন জরুরি বিভাগে সেলাই, ব্যান্ডেজসহ নানাভাবে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।

এখানে সেবা নিতে আসা আকবর আলী, লাইলি অভিযোগ করে বলেন, আমরা সকাল ১০টার দিকে এসে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বসে থেকেও কোন ডাক্তার দেখাতে পারিনি।

লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ২০০৮ সালে এ হাসপাতালটির বহি:বিভাগ চালু হয়। বর্তমানে হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করণের কাজ চলমান। অথচ নির্মাণের পর থেকে এই হাসপাতালটিতে চিকিৎসক নেই।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মো. আমিন উল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আমাদের ৬ জন চিকিৎসক ছিল। তারা ডেপুটেশনে যাওয়ায় হাসপাতালে নানা সমাস্যা দেখা দিয়েছে। তারপরও এ সংকটের মধ্যে আমরা সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।