- সারাদেশ
- মাগুরায় মৃত বাকি মিয়ার শরীরে করোনার উপস্থিতি মেলেনি
মাগুরায় মৃত বাকি মিয়ার শরীরে করোনার উপস্থিতি মেলেনি

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার কলমধরি গ্রামে করোনা সন্দেহে মারা যাওয়া কৃষক বাকি মিয়ার শরীরে করোনার উপস্থিতি মেলেনি। মঙ্গলবার নতুন করে আট জনসহ জেলায় এ পর্যন্ত মোট ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪ জনে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। যার মধ্যে মারা যাওয়া বাকি মিয়ার সংস্পর্শে থাকা পরিবারের অপর ২ সদস্যসহ জেলার মোট ৮ জন রোগির নমুনায় করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। বাকি ৬ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলফল এখনও পাওয়া যায়নি।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় আরো ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন শহরের পুরাতন বাজার এলাকার এক ব্যাংকারসহ একই পরিবারের তিন জন।
জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা জানান, গত বৃহস্পতিবার জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ নিয়ে কলমধরি গ্রামের বাকি মিয়া মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। এ সময় করোনা সন্দেহে তাকে প্রথমে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে নেয়া হয়। পরদিন শুক্রবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য বিভাগ বাকি মিয়া ও তার সংস্পর্শে থাকা পরিবারের অপর ২ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠায়। ঢাকা থেকে পাঠানো তাদের রিপোর্টে করোনার উপস্থিতি নেগেটিভ আসে। একই সাথে সোমবার ৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাকি মিয়া ও তার পরিবারের ২ জনসহ মোট যে ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছিলো তার মধ্যে ৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। বাকি ৬ জনের পরীক্ষার ফলাফল এখনো পাওয়া যায়নি।
প্রদীপ কুমার সাহা আরও জানান, মঙ্গলবার মাগুরায় করোনা সন্দেহে নতুন করে ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। যার মধ্যে রয়েছেন ৬ এপ্রিল রাতে আইসোলেমনে পাঠানো এক ব্যাংকারসহ একই পরিবারের তিন জন। সর্বশেষ ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মাগুরা জেলায় মোট ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে মাগুরায় কঠোর তদারকি চলছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘর থেকে বের না হতে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা সবাইকে আতংকিত না হয়ে সচেতন হবার পরামর্শ দিচ্ছি। সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পরদিন ভোর ৬ টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ব্যতিত সব দোকান বন্ধ রয়েছে। ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাচা বাজারসহ শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকছে’।
এ ছাড়া শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় একই পরিবারের যে তিনজনকে আইসোলেমনে রাখা হয়েছে, তাদেও বাড়িটি লকডাউন ও মহল্লার আশপাশের বাড়ির সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ জন্য ওই এলাকায় সার্বক্ষনিক পুলিশ পাহারা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন