- সারাদেশ
- টাঙ্গাইল জেলা লকডাউন ঘোষণা
টাঙ্গাইল জেলা লকডাউন ঘোষণা

টাঙ্গাইল জেলাকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে মঙ্গলবার দুপুরে জেলার সার্কিট হাউজে পুলিশ বিভাগ, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং জনপ্রতিনিধিদের এক বিশেষ সভায় এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ জারি থাকবে।
টাঙ্গাইল জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার চারদিকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যাতে করে শহরে বা জেলায় কোন গণপরিবহনসহ কোন ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে। আবার কেউ যেন বাইরে যেতে না পারে।
এ ছাড়া জন সমাগম কমাতে শহরে ছোট ছোট যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের প্রদান কাঁচা বাজার পার্কবাজার পরিদর্শন শেষে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান।
জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় টাঙ্গাইল জেলাকে চার দিক দিয়ে চেক পোষ্ট বসিয়ে লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। অন্য কোন জেলায় যানবাহন এ জেলায় প্রবেশ করবে না। একইসঙ্গে এ জেলার যানবাহন অন্য জেলাও যেতে পারবে না। তবে ওষুধ, খাদ্য পণ্যবাহী যানবাহন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, সংবাদকর্মীরা এ সিদ্ধান্তের আওতার বাইরে থাকবে। এখন থেকেই টাঙ্গাইল জেলা অন্যন্য জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনস ছাড়া সব দোকান বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে জনগণকে কোন কারণ ছাড়াই ঘর থেকে বের হতে নিরুসাহিত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। করোনার কারণে সৃষ্ট সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামে গ্রামে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন, ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসের লে. কর্নেল মোহাম্মদ সোহেল রানা, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডা: মো. ওয়াহীদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোশারফ হোসেন খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শহীদ উল্লাহ, পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে টাঙ্গাইল জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগীর সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। সন্দেহজনক মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ২২ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাদের কারো মধ্যেই করোনা ভাইরাসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয়। টাঙ্গাইলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪ জন। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষের সংখ্যা ৬১ জন। এ ছাড়া নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৭২৯ জন হোম কোয়ারেন্টিন থেকে বের হয়েছেন। টাঙ্গাইলে মোট ১৩টি আইসোলেশন সেণ্টার খোলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন