- সারাদেশ
- ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন খুলনা মহানগর ও জেলার পুলিশ সদস্যরা
ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন খুলনা মহানগর ও জেলার পুলিশ সদস্যরা

পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন খুলনা মহানগর ও জেলার পুলিশ সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বর্তমানে করোনা সংক্রমণ রোধে তাদের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। প্রতিদিনই ঝুঁঁকি নিয়ে মানুষের সঙ্গে মিশতে হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের হ্যান্ড গ্লাভস ও সুরক্ষা পোশাক ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে না।
নগরী ও জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘুরে দেখা গেছে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পুলিশ সক্রিয়। মাঠ পর্যায়ের এ কাজে নিয়জিত কাউকেই পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়নি। সবাই মুখে মাস্ক পরলেও অধিকাংশ সদস্যের হাতে গ্লাভস ছিল না। জেলার বিভিন্ন স্থানে আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশ সদস্যদের রেইনকোট পরতে দেখা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেএমপি ও খুলনা জেলায় প্রায় ছয় হাজার পুলিশ সদস্য কর্মরত। এর মধ্যে নগরীর ৮টি থানা এবং বিভিন্ন জোনে প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করেন প্রায় ১৩শ' পুলিশ সদস্য। অন্যদিকে জেলার ৯টি থানা, পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন জোনে দায়িত্ব পালন করেন ১ হাজার ৯৫৪ জন। পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে সবাইকে মাস্ক ও জীবাণুনাশক দেওয়া হয়েছে। কিছু হ্যান্ড গ্লাভস ও পিপিই দেওয়া হয়েছে। তবে বেশিরভাগ সদস্যই গ্লাভস ও পিপিই পাননি।
দায়িত্বরত অবস্থায় এক পুলিশ সদস্য জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নানা রকম দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এ জন্য তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক দেওয়া হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে হ্যান্ড গ্লাভস দেওয়া হয়েছে। তবে পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে নামমাত্র। ফলে ঝুঁকি নিয়েই তাদের প্রতিদিন কাজ করতে হচ্ছে।
খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান সমকালকে জানান, সব সদস্যকে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে। কিছু সদস্যকে গ্লাভস দেওয়া হয়েছে। অল্প কিছু পিপিই এসেছে। কিছু ব্যবহার করা হচ্ছে জরুরি প্রয়োজনে, কিছু মজুদ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত পিপিই না পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালনের সময় রেইনকোট পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেভাবে মাঠ পর্যায়ে ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের সময় আমরা রেইনকোট পরার নির্দেশনা দিচ্ছি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির সমকালকে বলেন, পুলিশের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত উপকরণ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, যারা অফিসে বসে দায়িত্ব পালন করছেন, ট্রাফিকের দায়িত্বে রয়েছেন বা মানুষের সংস্পর্শে আসছেন না; তাদের তো পিপিইর প্রয়োজন নেই। তাদের মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস দেওয়া হয়েছে। যারা আসামি গ্রেপ্তারে যাচ্ছেন, লাশ উদ্ধার বা ময়নাতদন্ত কাজে যাচ্ছেন, তাদের পিপিই দেওয়া হয়েছে। তবে সবাইকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন