করোনা উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মৃত্যুর পর ফতুল্লার কোতোয়ালেরবাগ এলাকায় নিজ ঘরে পড়ে ছিল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের (৬০) লাশ। তার মৃত্যুর পর পরিবারের স্বজনদের আহাজারি শুনলেও প্রতিবেশীদের কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে বিকেলে খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন তার দাফনের ব্যবস্থা করে। উপজেলা প্রশাসনের দাবি, তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া জাহাঙ্গীর আলমের পরিবার দাবি করেছে, ১০-১২ দিন আগে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে নারায়ণগঞ্জ দেড়শ' শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় সেখানে তার রক্ত ও থুথু পরীক্ষার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। এরপর তার লাশ তার কক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাহাঙ্গীর অসুস্থ ছিলেন। তবে তিনি করোনা রোগী ছিলেন না। তার দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।