খাদ্যশস্যের ভাণ্ডারখ্যাত চলনবিলের তাড়াশে বোরো ধান কাটা নিয়ে শ্রমিক সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। তাড়াশ উপজেলায় এ বছর ২২ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে  আগাম জাতের বোরো ধান কাটা শুরু হবে। কিন্ত সাম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতার কারণে চলমান লকডাউন থাকায় ধান কাটার শ্রমিকদের আসা ও থাকা খাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। 

লালুয়ামাঝিড়া গ্রামের কৃষক টুটুল খন্দকার জানান, তাড়াশে বিপুল পরিমাণ জমিতে বোরো ধান কাটতে ও মাড়াই করতে পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ও তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন অংশের কৃষি শ্রমিক ধান কেটে থাকেন। কিন্ত বর্তমান সময়ে তাদের চলাচল নিয়ে কৃষকেরা চিন্তিত। 

এদিকে তাড়াশ ইউএনও ইফ্ফাত জাহান জানান, বোরো ধান কাটতে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আসা কৃষি শ্রমিকেরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ধান কাটলে সমস্যা নেই। 

তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুলন্নাহার লুনা জানান, ধান কাটা নিয়ে উপজেলার কৃষকেরা তাকে বার ফোন করছেন। এ কারণে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বোরো ধান ঘরে তুলতে দূর -দূরান্তের কৃষি শ্রমিকেরা রাস্তায় আসা যাওয়ায় ও এলাকায় অবস্থানের বিষয়ে কোন বাঁধার সম্মুখীন যাতে না হয় সেদিকে তারা নজর রাখবেন।