করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীর সংস্পর্শে যাওয়া বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সসহ ১৫ জন কোয়ারেন্টাইন শেষ করে সোমবার কাজে যোগ দিয়েছেন। শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানিয়েছেন, নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে তারা কেউ করোনায় আক্রান্ত নন।

রংপুরের এক বাসিন্দা গায়ে জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে ২৮ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে ট্রাকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। জ্বরসহ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ২৯ মার্চ ভোরে তিনি বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকায় নেমে যান। এরপর স্থানীয় এক সাংবাদিক ও পুলিশের সহযোগিতায় তাকে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে শজিমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি ওই ব্যক্তি নিজেকে হৃদরোগী হিসেবে জানালে শজিমেক কর্তৃপক্ষ তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করান। কিন্তু শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে পরদিন ৩০ মার্চ তাকে আইসোলেশন ইউনিট বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ওইদিনই শজিমেক (সিসিইউ) ইউনিটে ওই রোগীর কোনো না কোনোভাবে সংস্পর্শে আশা ৫ চিকিৎসক, ৬ নার্স এবং ৪ ক্লিনারকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে মোহাম্মদ আলী হাসাপাতালে ভর্তি রংপুরের ওই বাসিন্দার নমুনা গত ১ এপ্রিল সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৪ এপ্রিল জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, রংপুরের ওই ব্যক্তি করোনা পজিটিভি অর্থাৎ তিনি করোনায় আক্রান্ত। এরপরই শজিমেক হাসপাতালের সিসিইউ ইউনিটে কর্মরত তিন চিকিৎসক এবং ১ নার্সেরও নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। ১২ এপ্রিল জানানো হয় তারা কেউ করোনায় আক্রান্ত নন।

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারি পরিচারক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ১৫জনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ ১২ এপ্রিল শেষ হয়েছে। যে কারণে তারা ১৩ এপ্রিল কাজে যোগ দিয়েছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোয়ারেন্টাইনে ১৫ জনের মধ্যে কেবল ৩ চিকিৎসক এবং একজন নার্সের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। কারণ তারা করোনা পজিটিভ ওই রোগীকে খুব কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন। তবে পরীক্ষায় দেখা গেছে ওই ৩ চিকিৎসক ও একজন নার্সের কেউই করোনায় আক্রান্ত নন।