- সারাদেশ
- বগুড়ায় নদীপথে আসা শ্রমিকরা আশ্রয় নিয়েছেন চরে
বগুড়ায় নদীপথে আসা শ্রমিকরা আশ্রয় নিয়েছেন চরে

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে প্রচারণা চলছে -সমকাল
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানী-চুকাইনগর ও পাকুল্লা ইউনিয়নের প্রায় ৯টি চরে নিজের বাড়িতে উঠেছেন ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে নদীপথে আসা গার্মেন্টস শ্রমিকরা। তাদের সমাগমে সুনসান চর এখন সরগরম হয়ে ওঠেছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করা হলেও তা মানছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিদিন নৌকা যোগে ঢাকা থেকে দলে দলে মানুষ এলেও বাধা দেওয়ার কেউ নেই বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, সোনাতলা উপজেলার তেকানীচুকাইনগর ইউনিয়নে খাবুলিয়া, সরলিয়া, মহব্বতেরপাড়া, জন্তিয়ারপাড়া, আউচারপাড়া, ভিকনেরপাড়া, চরসরলিয়া, দাউদেরপাড়া, পাকুল্লা ইউনিয়নের খাটিয়ামারী চরের প্রতিটি ঘরের ২/১ জন করে মানুষ ঢাকা ও নারায়নগঞ্জে মিল কলকারখানা ও গার্মেন্টসে শ্রমিকের কাজ করেন। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে গার্মেন্টস বন্ধ থাকায় তারা গ্রামের বাড়িতে ফিরছেন। তারা সড়কপথে না এসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকাযোগে দলে দলে বাড়ি ফিরেন। কেউ থাকছেন না হোম কোয়ারেন্টাইনে। চরে ফিরে এসে অবাধে ঘোরা ফেরাসহ পাড়াপ্রতিবেশীদের সঙ্গে খোশ-গল্প আর আড্ডা দিচ্ছেন। এ ছাড়া হাটে বাজারে সামাজিক দূরত্ব না মেনে চা দোকান ও হোটেলে ভিড় করছেন।
তেকানী-চুকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শামছুল হক জানান, তার ইউনিয়ন ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে আসা গার্মেন্টস শ্রমিকে ভরে গেছে। চলাফেরা দেখে মনে হয় তারা কোনো উৎসবে এসেছেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হলে তারা এ বিষকে কোন গুরুত্বই দিচ্ছেন না।
এলাকার একাধিক মানুষ জানান, শুধু চরাঞ্চলে নয় গোটা উপজেলায় ছেয়ে গেছে ঢাকা ও নারানগঞ্জ শহর থেকে আসা মানুষে। এতে এসব এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
সোনাতলা থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদ হাসান জানান, গত ৩-৪ দিন আগে থেকে সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে পুলিশ এ বিষয়ে সচেতনতামূলক সভা ও মাইকিং করছে।
পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান শান্ত বলেন, প্রশাসনের তরফ থেকে শক্ত পদক্ষেপ নিলে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন