- সারাদেশ
- ভৈরব খাদ্য গুদামে দেড় কোটি টাকার চাল ও বস্তার হদিস নেই
ভৈরব খাদ্য গুদামে দেড় কোটি টাকার চাল ও বস্তার হদিস নেই

ফাইল ছবি
কিশোরগঞ্জের ভৈরব সরকারি খাদ্য গুদামে (এলএসডি গোডাউন) অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি গুদামে ৮১ টন চাল ও ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪২৬টি নতুন খালি বস্তার হদিস পায়নি। সেগুলো গুদামে মজুদ নেই। সরকারি হিসাবে এর মূল্য দেড় কোটি টাকারও বেশি।
জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এম খোদাদাদ হোসেন রোববার সন্ধ্যায় এ সব তথ্য জানান। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানান তিনি। জেলা প্রসাশক সারোয়ার মোর্শেদ চৌধুরী প্রতিবেদন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
গত ২১ মার্চ খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সারোয়ার মাহমুদ আকস্মিকভাবে ভৈরব সরকারি খাদ্য গুদাম পরিদর্শনে আসেন। তিনি ২ ও ৩ নম্বর গুদামে চালের খামালের ভেতরে ফাঁকা দেখতে পেয়ে দুটি গুদাম সিলগালা করে দেন। এ ছাড়া গুদামের সীমানা প্রাচীর ভেঙে একটি চালকলের রাস্তা দেখতে পান। রাস্তাটি দ্রুত বন্ধ করতে কিশোরগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নির্দেশ দেন। পরদিন দুপুরে রাস্তাটি বন্ধ করতে এসে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর হোসেন ভূঁইয়া দেখতে পান- সিলগালা গুদাম খুলে ভেতরে শ্রমিকরা কাজ করছে। এ ঘটনায় ১০ শ্রমিকসহ গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ও ঠিকাদার ফারদুল্লাহকে আটক করা হয়। রাতেই ডিজির নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় মামলা করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে খাদ্য অধিদপ্তর। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পাঁচ সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এ কমিটি ছয়টি গুদামের মজুদ গণনা করে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ জানান, বিশ্বাস ভঙ্গ ও সিলগালা গুদামের তালা ভেঙে নয়ছয়ের দায়ে গুদাম কর্মকর্তা ও ঠিকাদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খতিয়ে দেখবে।
মন্তব্য করুন