কাজের সন্ধানে খুলনায় এসেছিলেন তারা। করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না। কাছে টাকা না থাকায় খাবারও জুটছে না, স্টেশনেই সময় কাটছে। হতভাগ্য ব্যক্তিরা হলেন খুলনা রেলস্টেশনে আটকে পড়া ১৫ শ্রমিক।

সোমবার বন্ধ খুলনা রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, প্ল্যাটফর্মে ঢোকার ফটকটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সদা ব্যস্ত ওই স্টেশনে নেই কোনো হাঁকডাক। চারদিক সুনসান নীরবতার মাঝে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের মুখের সিঁড়িতে অলস বসে আছেন ১০ থেকে ১৫ জন। কপালে চিন্তার ভাঁজ, পরনের কাপড়ও ময়লা হয়ে গেছে। ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর স্থির চোখ তাকিয়ে আছে সামনের দিকে, কেউ যদি কোনো খাবার নিয়ে আসে- এই ভরসায়। তারা ১০ থেকে ১২ দিন ধরে স্টেশনে আটকে আছেন বলে জানান।

রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার এলাকার মাহফুজ শেখ জানান, গত ৩০ মার্চ বাড়ি ফেরার উদ্দেশে মোংলা থেকে খুলনায় চলে আসেন। দেখেন ট্রেন বন্ধ। অন্য যানবাহনও নেই। কাছে যে টাকা ছিল তা দিয়েই কয়েকদিন পাউরুটি-কলা কিনে খেয়েছেন। এখন হাতে আর টাকা নেই। পঞ্চাশোর্ধ্ব মো. হাকিম জানান, শুধু পানি খেয়েই কেটেছে দু'দিন। প্রায় একই অবস্থা বাকিদেরও।

তারা জানান, খাদ্য সহায়তা নিলেও রান্না করার ব্যবস্থা নেই। মাঝে মাঝে কেউ রান্না করা খাবার নিয়ে এলেও স্থানীয়দের কারণে তা আর তাদের পর্যন্ত পৌঁছায় না। অবশ্য গত কয়েকদিন ধরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নগরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা ভবঘুরে মানুষদের এক বেলা রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। ওই খাবারটুকু তারা পান বলে শ্রমিকরা জানিয়েছেন।