শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে একটি ব্যাংকের পিয়নের (১৮) মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চামটা ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের চামটা এলাকায় নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর পর সকাল ১০টার দিকে করোনা পরীক্ষার জন্য ওই ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। পাশাপাশি তার বাড়ি ও আশপাশের ৩০টি বাড়ির লোকজনসহ তার সংস্পর্শে আসা সকলকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শফিকুল ইসলাম রাজিব।

এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম জানান, দুই-তিন দিন যাবত ওই ব্যক্তির জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে জ্বরের সাথে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য তা আইইডিসিআরে পাঠানো হবে।

তিনি জানান, বাদ জুম্মা নড়িয়া উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন কমিটি তার দাফন সম্পন্ন করে।

সাইফুল ইসলাম আরও জানান, ওই ব্যক্তি ও তার বাবা গত ২৫ মার্চ ঢাকা থেকে শরীয়তপুরে আসেন। পরে তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখে উপজেলা প্রশাসন। কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয় গত ৭ এপ্রিল। ওই ব্যক্তি ঢাকা গুলশান-১-এ একটি ব্যাংকে পিয়নের চাকরি করতেন। আর তার বাবা কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। বাবা ও ছেলে একসাথেই ঢাকাতে থাকতেন।