- সারাদেশ
- শেরপুরে ওসি-চিকিৎসকসহ ৬ জন করোনায় আক্রান্ত
শেরপুরে ওসি-চিকিৎসকসহ ৬ জন করোনায় আক্রান্ত
-samakal-5e99d221689d6.jpg)
শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসক ও ঝিনাইগাতী থানার ওসি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া জেলা সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও সিভিল সার্জন অফিসের এক অফিস সহায়কসহ আরও একজনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে শেরপুর জেলা হাসপাতাল ও নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ১৯ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ নিয়ে জেলায় ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে ৯ জনই স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী। বর্তমানে জেলা হাসপাতালে একজন, ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরদীতে একজন করে মোট দুইজন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ৫ এপ্রিল সর্বপ্রথম এক স্বাস্থ্যকর্মীসহ শেরপুর সদর ও শ্রীবরদী উপজেলায় দুই নারী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। ওই দুইজন বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মজিবুর রহমান দুই চিকিৎসকের কোভিড ১৯ সংক্রমণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- নকলা থেকে ১৭ জনসহ জেলায় ৩৯ জনের লালা-রসের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের করোনা ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এদের মধ্যে আমার দুই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা ৩৯তম বিএসএসে উত্তীর্ন হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে যোগ দেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন- চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতাল আপাতত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবে জরুরি বিভাগে সীমিত আকারে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। আমি এবং ল্যাব ট্যাকনেশিয়ান আজই আমাদের নমুনা ময়মনসিংহে পাঠাচ্ছি।
সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কাশেম মো. আনোয়ারুর রউফ বলেন, জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে জেলা হাসপাতাল লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসও লকডাউনের চিন্তা ভাবনা চলছে।
তিনি বলেন, আপাতত সীমিত আকারে জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চালু থাকবে। অন্য সবকিছু বন্ধ থাকবে।
শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন- কিছুক্ষণ আগে সিভিল সার্জন আমাকে জানিয়েছেন ঝিনাইগাতী থানার ওসির নমুনায় কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন