মাগুরায় এবার শিশু সিয়ামের বাবার ওপর হামলা

মাগুরায় আট বছরের শিশু সিয়ামকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা করার কারণে এবার তার বাবা ইউসুফ সিকদার মারপিটের শিকার হয়েছেন। মামলার আসামি রকিবুল সর্দারের তিন ভাই মঙ্গলবার রাতে ইউসুফ শিকদারের বাড়ি গিয়ে চড়, থাপ্পড়, লাথি মেরে ও গলা টিপে তাকে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তারা মামলা তুলে না নিলে ইউসুফ শিকদারকে মেরে হাত-পা ভেঙ্গে পঙ্গু করার পাশাপাশি  তার বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলে জানা গেছে।

এর আগে মাগুরা সদর উপজেলার বিলআকছি গ্রামের ইউসুফ শিকদারের আট বছরের মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে সিয়ামকে গত রোববার বিকেলে একশ’ টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে লোহার পাইপ দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করেন প্রতিবেশী রফি উদ্দিন সর্দারের ছেলে রকিবুল সর্দার (৩০)। এ ঘটনায় সদর থানা পুলিশ ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রকিবুলকে আটক করে। পরদিন সিয়ামের বাবা ইউসুফ শিকদার রকিবুলকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দায়েকৃত ওই মামলায় রকিবুল বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।

ইউসুফ শিকদার মোবাইল ফোনে অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সিয়ামকে মারপিটকারী রকিবুলের তিন ভাই শহীদ সর্দার, টোকন সর্দার ও খোকন সর্দার তার বাড়িতে আসেন। তারা রকিবুলের বিরুদ্ধে মামলা করার অপরাধে তিনজনে মিলে তার উপরে চড়াও হয়ে চড়, থাপ্পড়, লাথি মেরে গলা টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় তার বৃদ্ধ বাবা মোকারম শিকদার ঠেকাতে আসলে তারা তাকেও লাঞ্ছিত করেন। পরে ইউসুফের চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাদের হাত থেকে তাকে রক্ষা করেন। তবে এ সময় রকিবুলের তিন ভাই তার বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় রকিবুলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলে না নিলে, হাত পা ভেঙ্গে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু করার পাশাপাশি বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার হামকি দেয়। এ ঘটনার পর তিনি বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানান। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। বর্তমানে ইউসুফ শিকদার পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।

সদর থানার ওসি (তদন্ত) সাইদুর রহমান জানান, ইউসুফ সিকদার বিষয়টি তাদের জানানোর সাথে-সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সত্যতা পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।