ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলা পরিষদের সামনে সরকারি ত্রাণের জন্য ভূমিহীনদের অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছেন। বুধবার সকাল ১০টায় করোনার প্রভাবে কর্মহীন পৌর এলাকার ঝাউদিয়া আবাসনের ২ শতাধিক  ভূমিহীন নারী পুরুষ ত্রাণের জন্য এ অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ শুরু করে। পৌর এলাকার কোন জনপ্রতিনিধি এখন পর্যন্ত তাদের কোন খোঁজ খবর ও ত্রাণ না দেওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছেন বলে জানান।

ঝাউদিয়া আবাসনের বাসিন্দা মহিদুল ইসলাম বলেন, তারা এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো ত্রাণ পাননি। তাছাড়া পৌর এলাকার কোন জনপ্রতিনিধি তাদের এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজখবর রাখেননি। ২০/২৫ দিন আগে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া শুধুমাত্র ৫ কেজি চাল তারা পেয়েছিলেন। এখন আবাসনের প্রতিটা পরিবার খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। বাধ্য হয়ে তারা উপজেলা পরিষদের সামনে ত্রাণের জন্য বসে আছেন।

আবাসনের বাসিন্দা নেহাল উদ্দিন, রোজিনা খাতুন, ভানু নেছা জানান, করোনার প্রভাবে তারা কোথাও কাজ করতে পারছে না। সরকারি কোনো ত্রাণও তারা পাচ্ছেন না। তারা এখন খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। 

পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম বলেন, জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তাকে ৪ টন চাল বরাদ্দ দেন। এর সাথে তিনি ব্যক্তিগতভাবে আরো ৩টন চাল যোগ করে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ১০ কেজি চাল ও ৩ কেজি আলু বিতরণ করেছেন। ঝাউদিয়া আবাসনের বাসিন্দারা যে একেবারেই পায়নি তা ঠিক না। হয়তো সবাই পায়নি। তিনি অভিযোগ করেন প্রতিটা ইউনিয়ন থেকে তার বরাদ্দ কম। এ কারণে তিনি সবার ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছাতে পারছেন না। 

ত্রাণ না পাওয়াদের বিক্ষোভের ব্যপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে তিনি কলটি কেটে দেন।