সোনাগাজীর চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিচ্ছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব রবিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মীর এমরানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধানকাটা কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন।

বুধবার সকালে তারা উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের দারোগারহাটের দরিদ্র কৃষক আবুল কাশেমের ৭০ শতক জমির পাকা ধান কেটে দিয়ে নিজেরা মাথায় করে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

কৃষক আবুল কাশেম বলেন,করোনার মহামারিতে শ্রমিক সংকটের কারণে ক্ষেতের পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তাছাড়া নগদ টাকার সংকটতো আছে। এই দুশ্চিন্তা ও সংকটের মাঝে সকালে ছাত্রলীগের ৫০নেতাকর্মী ক্ষেতে এসে ধান কেটে দিয়ে আমার বাড়িতে পৌঁছে দেন।

এরআগে সোমবার উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চরদরবেশ ইউনিয়নের কৃষক সাহাব উদ্দিন ও মতিগঞ্জ ইউনিয়নের পালগিরি গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন,আবুল হোসেনের ১৫০ শতক ক্ষেতের পাকা ধান কেটে দেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম. সালাহউদ্দিন ফিরোজ ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জ, চরদরবেশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম।

একইভাবে মঙ্গলবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপজেলার আমিরবাদ ও সদর ইউনিয়নের তিনজন কৃষকের ক্ষেতের পাকা ধান কেটে দেন।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল মোতালেব চৌধুরী রবিন জানান, এবার ফলন ভালো হয়েছে কিন্তু করোনা মহামারিতে শ্রমিক সংকটের কারণে দরিদ্র কৃষকরা পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। বিষয়টি অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ছাত্রলীগ কৃষকের ধানকাটা কার্যক্রম শুরু করে। যেকোনো মানবিক সঙ্কটে সাধারণ মানুষের পাশে থাকে ছাত্রলীগ। এই দুঃসময়ে প্রত্যেকের উচিত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো। উপজেলা ছাত্রলীগের ধানকাটা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।