বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) করোনা সনাক্তকরণ পিসিআর ল্যাব উদ্বোধনের পর ২১ এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষার জন্য মোট ৮৮টি নমুনা গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। 

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, ওই ৩৩টির মধ্যে ৩০টিই নেগেটিভ এসেছে। তবে ৩টির নমুনা আবারও পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বগুড়া শজিমেকের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে গত ২০ এপ্রিল করোনা সনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়। উদ্বোধনী দিনে ৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় যার সবগুলোই নেগেটিভ আসে। পরদিন ৮৪টি নমুনা পরীক্ষার জন্য সেখানে পাঠানো হয়। তবে ওইদিন সকালের পরিবর্তে দুপুরের পর পরীক্ষা শুরু হওয়ায় মাত্র ২৯টি নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। যার মধ্যে ২৬টির ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। বাকি ৩টি রিভিউ অর্থাৎ আবারও পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুস্তাফিজুর রহমান তুহিন  জানান, ২২ এপ্রিল বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে শজিমেক ল্যাবে ৪০টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল এবং শজিমেক থেকেও সেখানে নমুন পাঠানোর কথা। এখন থেকে ওই ল্যাবে মোট কতটি নমুনা পাঠানো হলো তার তথ্য জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় সমন্বয় করবে। নমুনা সংগ্রহ এবং তার ফলাফল কখন কিভাবে ঘোষণা করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন দুপুর ১২টার পর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে সংগৃহিত নমুনার সংখ্যা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। আর ফলাফল পাওয়া যাবে রাত ৮টার পর।

বগুড়া শজিমেকের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, তাদের ল্যাবে বগুড়ার পাশাপাশি জয়পুরহাট ও সিরাজগঞ্জ জেলার নমুনাও পরীক্ষা করা হবে। বুধবার জয়পুরহাট থেকে নমুনা এসেছে তবে সিরাজগঞ্জ থেকে এখনও আসেনি।