বগুড়ায় সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলে পারিবারিক বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে শহিদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটলেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। তবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে। নিহত শহিদুল চর কর্ণিবাড়ি ইউনিয়নের শোনপচা গ্রামের শাহ জামাল আকন্দের ছেলে। 

কর্ণিবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী মণ্ডল জানান, আব্দুর সাত্তার প্রায় সাত বছর আগে মেয়ে রেহেনা খাতুনের সঙ্গে একই গ্রামের শাহ আলমের বিয়ে দেন। রেহেনা-শাহ আলমের দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু যৌতুকের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকে। সম্প্রতি শাহ আলম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কথা জানায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার সালিশও হয়।

সালিশে খোকা ফকির নামে স্থানীয় এক মাতবর শাহ আলমের পক্ষ নেন এবং খায়রুল ইসলাম নামে অপর এক মাতবর রেহেনা খাতুনের পক্ষ নেন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে দুই মাতবরের পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ লাঠিসোটা ও ফলা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলায় শহিদুল ইসলাম নিহত হন।

জানা যায়, নিহত শহিদুলের পক্ষের লোকজন বুধবার সকালে প্রতিপক্ষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের গরু ছিনিয়ে নিয়েছেন। সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল আমিন জানান, ময়নাতদন্তের মরদেহ বুধবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গরু লুটের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। ঘটনা সত্য হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।