করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ইউনিয়নভিত্তিক ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নে ১০০ জনের মধ্যে ৫০০ টাকা সমমূল্যের। 

এর মধ্যে ২ কেজি আলু, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি করে পেঁয়াজ, লবণ, ছোলা ও চিনিসহ মোট ৭ কেজি পণ্যসামগ্রী দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে। 

কিন্তু তা বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুনের বিরুদ্ধে। 

বিতরণের সময় ট্যাগ অফিসার উপস্থিত থাকার নিয়ম থাকলেও তার অনুপস্থিতিতে বিতরণ করা হয়েছে এসব উপহার সামগ্রী। অভিযোগ রয়েছে, পণ্যের ওজনে গড়মিল থাকায় ৭ কেজির স্থলে সাড়ে ৫ থেকে ৬ কেজি খাদ্যসামগ্রী প্রায় প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে। 

এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আ. রহিম জানান ১০০ জনে উপহার সামগ্রী পেয়েছে সত্য। কিন্তু প্রতিটি পণ্যে ওজনে কম রয়েছে এবং প্রতিটি প্যাকেটে ওজনে এক থেকে দেড় কেজি কম রয়েছে। প্যাকেটের বাজার মূল্য সর্বোচ্চ ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকার বেশি হবে না।

ট্যাগ কর্মকর্তা দায়িত্বপালনকারী কলমাকান্দার পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, ট্যাগ অফিসার হিসাবে সব বিতরণে আমি থাকি। কিন্তু ওই ইউপির চেয়ারম্যান এই বিতরণের বিষয়টি আমাকে জানাননি। পরে জানতে পেরেছি, তিনি নিজেই টাকা তুলে তার মতো করে স্লিপ দিয়ে পণ্য বিতরণ করেছেন। 

এ বিষয়ে রংছাতি ইউপির চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা জানান, ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি শুনেছি ও মৌখিক অভিযোগও পেয়েছি। সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।