নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এসময় অতিরিক্ত দামে আদা বিক্রি করায় এক ব্যবসায়ীকে ও পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকায় আরো ১২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আর অতিরিক্ত দামে আদা ক্রয় করে অভিযোগ দিয়ে ১ হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন এক ক্রেতা।

সোমবার দুপুরে কবিরহাট বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া। কবিরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রুবেল মিয়ার নেতৃত্বে অভিযানে সহযোগিতা করে পুলিশ।

জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল কবিরহাট কাঁচা বাজারের মেসার্স আহসান ট্রেডার্স থেকে ৫০০গ্রাম আদা ১৮০টাকা দিয়ে ক্রয় করেন একজন ক্রেতা। তখন ওই ক্রেতা দোকান থেকে ১৮০টাকার একটি মেমো নিয়ে নেন। পরবর্তীতে তার সন্দেহ হলে পার্শবর্তী দোকানগুলোতে আদার দাম দেখলে তারা ৫০০গ্রাম ১৪০টাকা বলেন। পরবর্তীতে রোববার তিনি বিষয়টি লিখিতভাবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। সোমবার দুপুরে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই দোকানের মালিককে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে দণ্ডের ২৫ শতাংশ টাকা গ্রাহককে ফিরিয়ে দেয় ভোক্তা অধিদপ্তর।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অর্থদণ্ডের ২৫ শতাংশ ১হাজার টাকা উপস্থিত গ্রাহককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কবিরহাট বাজারের ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকায় ও অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বিক্রি করার অপরাধে ২১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ ১২ লিটার তেল ও ধ্বংস করা হয়েছে ২ বস্তা পচা খেজুর।