
প্রশাসন ব্যস্ত করোনা নিয়ে। এই সুযোগে চট্টগ্রামের প্রায় এক ডজন পাহাড়ে শতাধিক নতুন ঘর তুলেছে দখলদাররা। দখলদারিত্ব নিশ্চিত করতে পাহাড় সংলগ্ন সড়কের নাম দিয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার নামে - মো. রাশেদ
বায়েজিদ বোস্তামী রোড থেকে নতুন সংযোগ সড়ক হয়ে ফৌজদারহাটের দিকে আসতে পড়ে এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটি। এই ইউনিভার্সিটির ঠিক বিপরীত পাশেই জালালাবাদ মৌজার বেশ কয়েকটি পাহাড়। মানুষের দৃষ্টি এখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতির দিকে, আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এসব পাহাড়ে রাতারাতি গড়ে উঠেছে ৩০ থেকে ৪০টি ঘর।
শুধু এখানেই নয়, সড়কের এই মোড় থেকে আরেকটু সামনে উত্তর পাহাড়তলী মৌজার আটটি পাহাড়ও থাবা বসিয়েছে দখলদাররা। রাতারাতি তুলেছে তিনটি ঘর। আরও এক ডজন নতুন ঘর তৈরির প্রস্তুতি চলছে সেখানে। এই মোড়ের পরেই জঙ্গল সলিমপুর। এটির সঙ্গে লাগোয়া সড়কটির নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার নামে রেখে টাঙানো হয়েছে সাইনবোর্ড। আর পাহাড় দখল করে তোলা হয়েছে অন্তত ২৫টি নতুন ঘর। করোনা নিয়ে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগে দখলদাররা এসব ঘর তুলেছে বলে স্থানীয়রা এসব স্থাপনার নাম দিয়েছে 'করোনাঘর'।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, 'দেশে সাধারণ ছুটি চললেও থানা-পুলিশ ব্যস্ত করোনা নিয়ে। এই সুযোগে পাহাড় দখল করে যদি কেউ ঘর তোলে, সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।' জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'পাহাড় দখল করে কেউ কোনো স্থাপনা নির্মাণ করছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। তবে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নাম ব্যবহার করে পাহাড় দখলের অপচেষ্টা চালিয়েও কেউ পার পাবে না। পাহাড় দখল করে গড়ে ওঠা কোনো স্থাপনাই আমরা রাখতে দেব না।' করোনা নিয়ে প্রশাসনের ব্যস্ত থাকার সুযোগে যারা এসব ঘর বানিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডের সঙ্গে বায়েজিদ বোস্তামী রোডের এই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। বায়েজিদ আরেফিন নগর ও সীতাকুণ্ড পয়েন্টের ১৫টি পাহাড় কেটে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাইপাস সড়ক তৈরি করায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে চউককে ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। আবার পাহাড় সংলগ্ন লেক ভরাট করায় পরে জরিমানা করা হয় এই সড়কের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রাকেও। তার পরও টনক নড়েনি দখলদারদের।
সরেজমিন জানা যায়, উত্তর পাহাড়তলী মৌজায় পাহাড় দখল করে ঘর তুলেছেন মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, লিটন, রহমান ও রুবেল। উত্তর পাহাড়তলীর ১ নম্বর তফসিলভুক্ত বিএস ১৯৩ দাগের দশমিক ১০ একর ভূমি দখল করে ঘর বানিয়েছেন জহিরুল ইসলাম। মালিকানা সংক্রান্ত নতুন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। একই মৌজার দুই নম্বর তফসিলভুক্ত ১৮৭ দাগে ৩ দশমিক ১৯ একর ভূমির মালিক রেলওয়ে। কিন্তু এটি দখল করে তিনটি টিনের কাঁচা ঘর বানিয়েছে লিটন, রহমান ও রুবেল। খোঁজ করেও তাদের দেখা পাওয়া যায়নি। ভয়ে কেউ ফোন নাম্বার দেয়নি। বিকল্প উপায়ে লিটনের ফোন নাম্বার সংগ্রহের পর যোগাযোগ করে পরিচয় জানাতেই 'রং নাম্বার' বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। একাধিকবার চেষ্টা করেও আর সংযোগ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর পাহাড়তলী মৌজার ৭৭৩-৭৭৪, ৩০১, ২০০, ১৯৮, ১৩৯,১৯৫, ১৮৭; জঙ্গল সলিমপুর মৌজার ৩৬১, ৩৫৯, ৩৫৭-৩৫৮ এবং জঙ্গল লতিফপুর মৌজার ৬২, ৬০-৬২ ও ৩৪ নং দাগের পাহাড়ে এসব নতুন ঘর তৈরি করছে দখলদাররা। ঘরগুলো নতুন টিনের হলেও বাড়িগুলোকে পুরোনো বলে চালাতে সীমানায় ঘের দেওয়া হয়েছে পুরোনো টিন দিয়ে।
চউক থেকে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সংযোগ সড়ক তৈরি করা হলেও রাস্তার পাশের পাহাড় কেটে রাতারাতি নতুন ঘর তোলার খবর জানা নেই তাদের! চউকের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাজিব দাশ বলেন, 'সংযোগ সড়ক করায় ক্ষতি হওয়া পাহাড়গুলো চউক আবার ঠিক করে দেবে। কিন্তু সাধারণ ছুটির ফাঁকে সেই পাহাড় দখল করে কেউ ঘর তুলেছে কিনা তা চউকের জানা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে যে পদক্ষেপই নিক না কেন, তাতে সহায়তা করা হবে।'
শুধু এখানেই নয়, সড়কের এই মোড় থেকে আরেকটু সামনে উত্তর পাহাড়তলী মৌজার আটটি পাহাড়ও থাবা বসিয়েছে দখলদাররা। রাতারাতি তুলেছে তিনটি ঘর। আরও এক ডজন নতুন ঘর তৈরির প্রস্তুতি চলছে সেখানে। এই মোড়ের পরেই জঙ্গল সলিমপুর। এটির সঙ্গে লাগোয়া সড়কটির নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার নামে রেখে টাঙানো হয়েছে সাইনবোর্ড। আর পাহাড় দখল করে তোলা হয়েছে অন্তত ২৫টি নতুন ঘর। করোনা নিয়ে প্রশাসনের ব্যস্ততার সুযোগে দখলদাররা এসব ঘর তুলেছে বলে স্থানীয়রা এসব স্থাপনার নাম দিয়েছে 'করোনাঘর'।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, 'দেশে সাধারণ ছুটি চললেও থানা-পুলিশ ব্যস্ত করোনা নিয়ে। এই সুযোগে পাহাড় দখল করে যদি কেউ ঘর তোলে, সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে।' জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'পাহাড় দখল করে কেউ কোনো স্থাপনা নির্মাণ করছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। তবে প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নাম ব্যবহার করে পাহাড় দখলের অপচেষ্টা চালিয়েও কেউ পার পাবে না। পাহাড় দখল করে গড়ে ওঠা কোনো স্থাপনাই আমরা রাখতে দেব না।' করোনা নিয়ে প্রশাসনের ব্যস্ত থাকার সুযোগে যারা এসব ঘর বানিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা ট্রাঙ্ক রোডের সঙ্গে বায়েজিদ বোস্তামী রোডের এই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। বায়েজিদ আরেফিন নগর ও সীতাকুণ্ড পয়েন্টের ১৫টি পাহাড় কেটে ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাইপাস সড়ক তৈরি করায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে চউককে ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। আবার পাহাড় সংলগ্ন লেক ভরাট করায় পরে জরিমানা করা হয় এই সড়কের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্পেকট্রাকেও। তার পরও টনক নড়েনি দখলদারদের।
সরেজমিন জানা যায়, উত্তর পাহাড়তলী মৌজায় পাহাড় দখল করে ঘর তুলেছেন মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, লিটন, রহমান ও রুবেল। উত্তর পাহাড়তলীর ১ নম্বর তফসিলভুক্ত বিএস ১৯৩ দাগের দশমিক ১০ একর ভূমি দখল করে ঘর বানিয়েছেন জহিরুল ইসলাম। মালিকানা সংক্রান্ত নতুন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। একই মৌজার দুই নম্বর তফসিলভুক্ত ১৮৭ দাগে ৩ দশমিক ১৯ একর ভূমির মালিক রেলওয়ে। কিন্তু এটি দখল করে তিনটি টিনের কাঁচা ঘর বানিয়েছে লিটন, রহমান ও রুবেল। খোঁজ করেও তাদের দেখা পাওয়া যায়নি। ভয়ে কেউ ফোন নাম্বার দেয়নি। বিকল্প উপায়ে লিটনের ফোন নাম্বার সংগ্রহের পর যোগাযোগ করে পরিচয় জানাতেই 'রং নাম্বার' বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। একাধিকবার চেষ্টা করেও আর সংযোগ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, উত্তর পাহাড়তলী মৌজার ৭৭৩-৭৭৪, ৩০১, ২০০, ১৯৮, ১৩৯,১৯৫, ১৮৭; জঙ্গল সলিমপুর মৌজার ৩৬১, ৩৫৯, ৩৫৭-৩৫৮ এবং জঙ্গল লতিফপুর মৌজার ৬২, ৬০-৬২ ও ৩৪ নং দাগের পাহাড়ে এসব নতুন ঘর তৈরি করছে দখলদাররা। ঘরগুলো নতুন টিনের হলেও বাড়িগুলোকে পুরোনো বলে চালাতে সীমানায় ঘের দেওয়া হয়েছে পুরোনো টিন দিয়ে।
চউক থেকে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ সংযোগ সড়ক তৈরি করা হলেও রাস্তার পাশের পাহাড় কেটে রাতারাতি নতুন ঘর তোলার খবর জানা নেই তাদের! চউকের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাজিব দাশ বলেন, 'সংযোগ সড়ক করায় ক্ষতি হওয়া পাহাড়গুলো চউক আবার ঠিক করে দেবে। কিন্তু সাধারণ ছুটির ফাঁকে সেই পাহাড় দখল করে কেউ ঘর তুলেছে কিনা তা চউকের জানা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর এ ব্যাপারে যে পদক্ষেপই নিক না কেন, তাতে সহায়তা করা হবে।'
মন্তব্য করুন