বগুড়ায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও মেয়ে পা হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেলার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়াবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

আহতরা মোটরসাইকেল আরোহী ছিলেন। 

আহতরা হলেন- বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঘোষপাড়ার নবির উদ্দিনের ছেলে চা দোকানি লিটন মণ্ডল এবং তার ৭ বছরের মেয়ে লামিয়া জাহান। মোটরসাইকেলে থাকা লিটনের ছেলে আসিফের (১৪) পা রক্ষা পেলেও গুরুতর জখম হয়েছে।

বগুড়ায় হাইওয়ে পুলিশের কুন্দারহাট ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম জানান, লিটনের ছেলে ও মেয়ে তাদের নানার বাড়ি মোকামতলায় বেড়াতে গিয়েছিল। তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য লিটন মোটরসাইকেল নিয়ে শ্বশুড় বাড়ি যান এবং পরে বৃহস্পতিবার ছেলেমেয়েকে নিয়ে শেরপুরের উদ্দেশে রওনা হন। সকাল পৌনে ৯টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়াবাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী একটি ট্রাক ওই মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। তখন তারা তিনজন ছিটকে পড়ে যায়। এতে ৭ বছরের শিশু লামিয়া জাহানের ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। লিটন ও তার ছেলের ডান পা থেঁতলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে।

শজিমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, শিশু লামিয়ার ডান পা আগেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। আর অপারেশনের মাধ্যমে তার বাবা লিটনের ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে। তবে অপর সন্তান আসিফের ডান পা থেঁতলে গেলেও কাটার প্রয়োজন পড়েনি।

বগুড়ার হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ জানান, চালকসহ ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।