নোয়াখালীতে ১৩ বছরের এক কিশোরসহ ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এ নিয়ে জেলায় ২২ জনের করোনা শনাক্ত হওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলায় ১১জন, সদরে ২জন, সোনাইমুড়ীতে ৩জন, হাতিয়ায় ২ জন, সেনবাগে ১জন, কবিরহাটে ২জন ও চাটখিলে ১জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সোনাইমুড়ীতে একজন ইতালি প্রবাসীর ও সেনবাগে একজনের মৃত্যু হয়েছে। 
জেলা সিভিল সার্জন জানান, গত ২৯ এপ্রিল পাঠানো নমুনা রিপোর্টে ৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে।  এর মধ্যে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, বেগমগঞ্জে এক কিশোরসহ তিনজন ও চাটখিলের একজন রয়েছেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, গত ২৮এপ্রিল আলাইয়াপুরে করোনা আক্রান্ত  এক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন ওই কিশোরের বাবা
। এ কারণে গত ২৯ এপ্রিল ওই কিশোরের বাবা-মা’সহ তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিনি জানান, ওই দিন মোট ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে শুধু ওই কিশোরেরই করোনা পজিটিভ এসেছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, করোনা শনাক্ত হওয়ায় ওই কিশোরের মিয়াপুরের গ্রামের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া ওই বাড়ির ১০টি পরিবারের লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আক্রান্ত কিশোরের কোন উপসর্গ না থাকায় তাকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তার সংস্পর্শে আসা সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
তিনি জানান, এই উপজেলায় আক্রান্ত অন্য দুইজনের শরীরে করোনা উপসর্গ রয়েছে। তাদে কে নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তদের বাড়িগুলোও লকডাউন করা হয়েছে। চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক আহমেদ বলেন, নতুন আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রামনারায়ণপুর গ্রামে। তিনি সম্প্রতি ঢাকা এসেছেন।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া তার পরিবারসহ ওই বাড়ীর সব সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা মেডিক্যাল অফিসার রোগ নিয়ন্ত্রণ ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীর বাড়ি সোনাদিয়া ইউনিয়নে। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি কোয়ার্টারে থাকেন। ডা. নিজাম উদ্দিন বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালের কোয়ার্টারে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।